শান্তিকে টেকসই রাখতে বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হবে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করছে। একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নম্বর ৩৬/৬৭ প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে -‘শান্তির জন্য পদক্ষেপ : আমাদের প্রত্যাশা বৈশ্বিক লক্ষ্য’।
প্রতিবছর নিউ ইয়র্ক জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘শান্তির ঘণ্টা’ বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হবে। এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়–যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে ‘স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক’ বাণী খোদাই করা রয়েছে। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করায় এই পৃথিবীটাই আমাদের বাসভূমি, এখানে থাকতে হলে শান্তিতে, বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে, সকলের সঙ্গে সকলের সদ্ভাব বজায় রেখেই চলতে হবে। আর যে বিশ্বে শান্তি নেই সেখানে থাকা যায় না। ফলে ভালো করে থাকতে চাইলে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি। যাঁরা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য নানান কাজ করেছেন বা করে চলেছেন এই দিনটি তাঁদের স্মরণ করা হয়ে থাকে। ঝগড়া, ঝামেলা, মারপিট, যুদ্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে কোনও সমস্যাই সমাধান করা যায় না। দুটো বিশ্ব যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে, এতে খালি প্রাণহানি, সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ে, কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই বিশ্বে শান্তির প্রয়োজনীয়তা কতটা সেটা এই দিন মনে করিয়ে দেয় আমাদের।