চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এক তরুণীকে চাকরির প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে দুই দফায় ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এক তরুণী।
প্রথমে এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে, পরদিন ভোরে একই স্থানে আরও চারজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করেছে, বাকিরা পলাতক।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের পুত্র রিপন প্রকাশ এনামুল হক (২৭) ও বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের নজীর আহমেদের পুত্র মোঃ সাইফুদ্দিন (৩৪) সহ অজ্ঞাত আরও ৩ জন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পুটিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিনি চাকরির সন্ধানে চট্টগ্রামে মামার বাসায় আসেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির খোঁজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় এনামুল হক ওরফে রিপন (২৭) নামের ওই যুবকের সাথে; যিনি নিজেকে ইয়ংওয়ান গার্মেন্টসের কর্মী বলে পরিচয় দেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গেল সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে এনামুল তাকে চাকরির কথা বলে ইপিজেড এলাকায় নিয়ে ঘুরাতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় গড়ালে একটি নির্জনস্থানে নিয়ে যান। আনোয়ারা থানাধীন বোয়ালিয়া ঈদগাঁর পাশে হারুনের খামারের একটি পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রথম দফায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে এনামুল তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান, তবে স্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে উত্তেজিত হলে রাতটি কাটানোর জন্য পাশের এক প্রতিবেশীর ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরদিন ৫ আগস্ট ভোরে এনামুল তাকে নিয়ে আবার বের হলে পথে দ্বিতীয় আসামি মো. সাইফুদ্দিন (৩৪) ও তার সঙ্গে থাকা তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আবারও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।
তরুণীর চিৎকার ও এনামুলের ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং এনামুল হককে আটক করে। ঘটনার সময় বাকি আসামিরা পালিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বোয়ালিয়া ঈদগাঁর পাশে হারুনের খামারের একটি পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়ে দুই দফায় ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। আমরা ৯৯৯-এ নাম্বারে ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করি। পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।