আনোয়ারা ও লোহাগাড়ায় পৃথক ঘটনায় সাপের কামড়ে দুই কিশোর–কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এ দুই ঘটনা ঘটে। আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে নাঈমা আক্তার (১৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৪টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা গ্রামের বক্সীমিয়াজির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নাঈমা স্থানীয় মৎস্যজীবী মো. হাসানের কন্যা। সে রায়পুর গাউসিয়া হাশেমিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারে এক ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে নাঈমা সবার বড়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, নাঈমা রাতে তার মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়ার পর রাত ৩টার দিকে হঠাৎ চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এ সময় তার পায়ে কোন কিছুর কামড়ে বিষাক্ত যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে জানালে পরিবারে সদস্যরা তাকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার রায়পুরের সরেঙ্গায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয়েছে। রাতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান, সাপের কামড়ে মো. তাওসিফ (১৬) নামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাওসিফ উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সড়ইয়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক মো. ইব্রাহিমের পুত্র।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলিম সামাদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোর তাওসিফ বসতঘর থেকে উঠানে বের হয়। এ সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে ছোবল মারে। স্বজনরা বিষয়টি জানার পর তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ জানান, রাত ৮টার দিকে সাপে কামড় দেয়া এক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তাকে এন্টিভেনমসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।