জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ২৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে আনোয়ারার বোয়ালিয়া এলাকার মো. জালাল উদ্দিন শাহ নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তিনি বোয়ালিয়া এলাকার মেসার্স সাদিয়া মৎস্য হ্যাচারী ও পারকি রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর উপ–পরিচালক মো. আতিকুল আলম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিলে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী জালাল সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৭৪৮ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। যাচাই করলে দেখা যায়, এ তথ্য সঠিক। অর্থাৎ দালিকৃত সম্পদ বিরণীতে তিনি কোন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেননি। এজাহারে এও বলা হয়, সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন না করলেও জালালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তার নামে দায় বাদে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৮ টাকার নীট স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে এবং একই সময়ে তিনি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ১৬৬ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার নামে মোট অর্জিত নীট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯২ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৪ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ বা গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ৭০ লাখ ৭১ হাজার ৯১০ টাকা। এক্ষেত্রে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার বৈধ আয়ের উৎস ১ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ২৪ টাকা কম পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ব্যবসায়ী জালাল তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ২৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা মুসাব্বির আহমেদ বলেন, তদন্তে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পেলে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।