আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলায় ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ দুই নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা এলাকার নিজ বাড়িতে মরিয়ম খাতুন (৫২) নামে এক বৃদ্ধা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার সকাল ৮টার সময় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিহতের ছেলে আক্কাস মিয়া বলেন, আমার মা মরিয়ম খাতুন বার্ধক্যজনিত কারণে গত কয়েকমাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সোমবার সকালে আমার মা বসতঘরের পাশে চাচার ঘরের ভিতর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মদ জানান, মরিয়ম খাতুন নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের চাটরা গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জোৎস্না আক্তার (২৩) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, চাটরা গ্রামের ইউসুফ আলীর পরিবারের মধ্যে কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে ইউসুফ আলীর স্ত্রী জোৎস্না আক্তার ঘরের একটি খুঁটির সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬–৭ মাস পূর্বে প্রসবের ১৫ দিনের মাথায় ওই গৃহবধূর একটি সন্তান মারা যায়। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
পটিয়া থানার উপ–পরিদর্শক সমীর ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটিয়া থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আত্মহত্যাকারী গৃহবধূ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করার পর আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।