বাঁশখালী উপজেলার মো. হাসান (৬৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর ছেলে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শফিককে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে পতেঙ্গা সাগরপাড়ে যায় পিবিআইয়ের টিম।
সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল শফিকের বাবার কাটা মাথা। তবে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর সন্ধান মেলেনি ভুক্তভোগীর কাটা মাথা। এরপর বেলা পৌনে ১১ টার দিকে তাকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেপ্তার শফিকের বাসায় বাবাকে হত্যা ও টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। এরপর শফিক ও তার স্ত্রী আনারকলি মিলে বাবার কাটা মাথা সাগরপাড়ে ফেলে দিয়েছিল। সেটি উদ্ধারে আমরা শফিকের স্ত্রী আনারকলিকে নিয়ে সেখানে যাই।
কিন্তু দুদিন তল্লাশির পর কাটা মাথাটি আমরা পাইনি। এরপর শুক্রবার রাতে শফিককে গ্রেপ্তারের পর পুনরায় শনিবার সকালে মাথার সন্ধানে যাই। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মানুষের শরীরের ৮টি খণ্ড। এর মধ্যে ছিল ২ হাত, ২ পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। প্রত্যেকটি অংশ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। তবে ওই লাগেজে ভুক্তভোগীর মাথা না থাকায় তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।