আনজুমান, জামেয়ার সেবায় মুহাম্মদ মহসিন ও সাবের আহমদের খিদমত অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে

বলুয়ার দীঘি খানকায় স্মরণ সভায় আল্লামা সাবির শাহ

| রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

নগরীর কুরবানীগঞ্জস্থ বলুয়ার দীঘি খানকা এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় আনজুমান ট্রাস্টের সাাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন (রহ) এর ওফাত বার্ষিকী ও খানকাহ শরীফের মতোয়াল্লি সাবের আহমদের কুলখানী উপলক্ষে স্মরণসভা ও জিয়াফত অনুষ্ঠান গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে আওলাদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পীরে বাঙাল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (.জি. ) বলেন, হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত গাউসুল আজম আবদুল কাদের জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সিলসিলা, আনজুমান, জামেয়াসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা, খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে আমাদের ওপর যে এহসান করেছেন তা আমাদের আজীবন স্মরণ রাখতে হবে। তিনি বলেন, আনজুমান, জামেয়া প্রতিষ্ঠায় যারা সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে ছিলেন, তৈয়ব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলায়হির সাথে ছিলেন, তারা ভাগ্যবান। তারা নিজেদের স্বার্থের দিকে না দেখে দ্বীন ও মাজহাবের জন্য নিজেদের সবকিছু কুরবানি দিয়েছেন, বিশেষ করে নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর যে খেদমত তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাশাপাশি মোহাম্মদ মহসিন সাহেব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দরবারে আলিয়া কাদেরিয়ার ওয়াফাদারি করেছেন। আনজুমান ও জামেয়ার অসাধারণ খিদমত করছেন অপরদিকে নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর কনিষ্ঠ সন্তান সাবের আহমদ খানকার খেদমত করেছেন, জুলুসে মিডিয়া কমিটি ও গাউসিয়া কমিটিতে খিদমত করে দুনিয়া থেকে রুখসত নিয়েছেন। দুই ভাই একবছরের ব্যবধানে একই তারিখে ইন্তেকাল হওয়া এবং তাতে আমাদের উপস্থিতি, জানাজা, দাফন ইত্যাদিতে যুক্ত হওয়া আল্লাহর বড় লীলা। তিনি বলেন, সিরিকেটি (রা.) আধ্যাত্মিকতা ও জ্ঞানের যে মশাল এ বাংলায় প্রজ্বলন করেছেন তা আজ বিশ্বব্যাপী আলো ছড়াচ্ছে। যেখানে যায় সেখানেই বলে আমি জামেয়ার ছাত্র। বাঙালিরা বড় সৌভাগ্যবান, সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার আধ্যাত্মিকতার মিশনের বীজ বপন করেছেন এ বাংলায়, আর জামেয়া সে মিশনকে নিয়ে গেছে বিশ্বময়। আল্লামা সাবির শাহ কুরআন হাদিস ও ফিকহ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার আহবা জানিয়ে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে আজ যে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে তা মোকাবিলা করতে হলে প্রযুক্তিগত জ্ঞান এখন অপরিহার্য। স্মরণ সভায় বিশেষ মেহমান ছিলেন আওলাদে রাসুল, ছাহেবজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও ছাহেবজাদা সৈয়দ মেহমুদ আহমদ শাহ (.জি.)। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আনজুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন সাকের, ফিন্যান্স সেক্রেটারি কামরুদ্দিন সবুর, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি গোলাম মহিউদ্দিন, আনজুমান ট্রাস্টের সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, মুখপাত্র এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারসহ গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলালের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আনজুমান ট্রাস্টের সদস্য আবদুল হাই মাসুম, আমিনুল ইসলাম, গাউসিয়া কমিটির দক্ষিণ জেলার সদস্য মাওলানা ওবায়দুল হক হক্কানি, খানকাহ শরীফের মতোয়াল্লি সাব্বির আহমদ, জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা জসিম উদ্দীন আল কাদেরী প্রমুখ। এর আগে হুজুর কেবলা ও ছাহেবজাদাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন, পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, হাজী নিয়াজ আহমদ দুলাল ও গোলাম মহিউদ্দিন। পরে সালাতুস সালাম ও মোনাজাতে মরহুম মোহাম্মদ মহসিন ও সাবের আহমদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবজাতিকে আলোর পথ দেখাতে আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (দ.)-কে প্রেরণ করেন
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত হেলপার