অতীতে জেলখাটা সাবেক এক আইনজীবীকে মন্ত্রিপরিষদে নিয়োগ দেওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করেছে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, স্রেথা উদ্ধত আচরণ করে নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। ৬৭ বছর বয়সি স্রেথা এক বছরের কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন। গত ১৬ বছরে সাংবিধানিক আদালতের অপসারণ করা তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে অধিবেশন না হওয়া পর্যন্ত স্রেথার জায়গায় থাকবেন একজন অন্তর্বর্তীকালীন নেতা। রায়ের পরপরই এক সংবাদ সম্মেলনে স্রেথা বলেন, আমি আমার সততার ব্যাপারে আস্থাশীল। আমার দুঃখ হচ্ছে, কিন্তু আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত নই, তা আমি বলছি না। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানায়, আদালতের দেওয়া রায় চূড়ান্ত এবং এর বিরুদ্ধে আপিলও করা যাবে না। থাইল্যান্ডের রাজনীতি নৈতিকতার জন্য খুব একটা পরিচিত নয়। ঘুষ সেখানে একটি সাধারণ ব্যাপার। অতীতে আরও গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে গেছেন। থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষ আদালতের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক রায় হিসেবে দেখবে। যদিও কে এর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। গত মে মাসে পিচিত চুয়েনবানের নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী স্রেথাকে তার পদ থেকে অপসারণের জন্য প্রায় ৪০ জন সিনেটরের দায়ের করা পিটিশন গ্রহণ করেছিল আদালত। ঘুষ দেওয়া–নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে অতীতে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল চুয়েনবানের। গতকাল সাংবিধানিক আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে ৫ জনই রায়ে বলেন, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চুয়েনবানকে নিয়োগ করার মধ্যেমে স্রেথা তার কার্যালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। যদিও নিয়োগ পাওয়ার ১৯ দিনের মাথায়ই পদত্যাগ করেছিলেন সাবেক এই আইনজীবী। থাইল্যান্ডে ৯ বছরের সামরিক শাসিত সরকারের অবসান ঘটিয়ে গত বছর আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা থাভিসিন।