বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার (৩২) আদালতে ১৬৪ ধারা অনুযায়ী জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে সাক্ষী হিসেবে তিনি এ জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে মিতু হত্যার ঘটনায় মুছা জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন তিনি। আদালতের নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার একটি সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে নিয়ে আসে তদন্তকারী সংস্থ্যা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একপর্যায়ে তিনি বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ১২ মে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার ও মুছাসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুল আক্তারের শ্বশুর নতুন একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, ভারতীয় এক তরুণীর সাথে বাবুল আক্তারের পরকীয়া প্রেমের কারণেই মিতু খুন হন। বাবুল আক্তারই সে খুনের পরিকল্পনা করেন। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে সেদিনই শ্বশুরের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ঢেকে নিয়ে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শ্বশুরের দায়ের করা সে মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর পর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলায় ডিবি পুলিশ হয়ে মামলার তদন্ত কাজের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে গত ১২ মে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।