আদালত পাড়ার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনে আইনজীবীরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুর ২টায় ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দিয়েছেন বলে আজাদীকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের আইসিটি শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আদালত পাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করার সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কোম্পানিকে ৫-৭ জন আইনজীবী বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ফিরে যান।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আদালত পাড়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও আদালত থাকায় এ প্রাঙ্গণে প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রার্থী ও বিচারপ্রার্থীর যাতায়াত রয়েছে। পাশাপাশি এই পাহাড়ে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়ে চোর, ছিনতাইকারী, দালালদের রয়েছে আনাগোনা। এমন অবস্থায় সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেবাপ্রার্থীদের সেবাপ্রদান সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করার জন্য ১৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এতেও থেমে নেই দুষ্কৃতকারীরা। সম্প্রতি কয়েকটি ক্যামেরা তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া এ এলাকায় মাঝেমধ্যে সেবাপ্রার্থীদের টাকা চুরি বা মোবাইল ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়।
সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুই সংবাদকর্মী। এ সময় তাদের মারধর করেন আইনজীবীরা, যা জেলা প্রশাসনের সিসিটিভি সিস্টেমের ফুটেজে ধরা পড়ে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালত পাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নিশ্ছিদ্র করার স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং পুরাতন জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করছিল ঠিকাদার কোম্পানি। এতে বাধা দেন আইনজীবীরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং জরাজীর্ণ ক্যাবলগুলো পরিবর্তনের কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে বলেন, পুরো বিষয়টিই আমি অবগত না। তবে আমাদের ভবনে সিসি ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব একমাত্র আমরা। আমাদের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা রয়েছে। প্রয়োজনে আরো লাগাব। জেলা প্রশাসন আমাদের ভবনে বা আমাদের ভবনের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারে না। আমাদের সাথে এ বিষয়ে তাদের কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি।