চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানা এলাকায় নিজ বাসার সামনে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নিয়াজ মোরশেদ নিপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিপু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিয়াজ মোরশেদ নিপু মীরসরাই পৌরসভা এলাকার মো. আবুল হোসেনের ছেলে।
শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, নিয়াজ মোরশেদ নিপু আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। প্রসিকিউশন পক্ষে আমরা তার বিরোধিতা করি। আদালত আমাদের বিরোধিতা আমলে নিয়ে তার জামিন নামঞ্জুর করেন এবং নিপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসার সামনে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে লোহার রট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার পিতা মেঘনাত বিশ্বাস অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সদরঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
আদালত সূত্র জানায়, আলোচিত সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় নিয়াজ মোরশেদ নিপু ছাড়া এখন পর্যন্ত ১৮ জন গ্রেপ্তার আছেন। ৪ জন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, এ হত্যা মামলায় গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় প্রায় ২ মাস কারাগারে থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাসুম চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে মাসুম বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানায় আদালত সূত্র।