এইযে, স্যার …শোনেন …. স্যা..র– হ আফনেরেই ডাকতাছি … কইতেছিলাম কি.. কিছু কওনের আগে সত্যটা জানন দরকার, জাননের পর সত্য কইতে যদি কুনুরকম সমস্যা থাকে, তাইলে চুপ থাইকেন। বেহুদা বেতাইল্ল্যা কথা কইয়া শান্তি ঘাঁইটা দিয়েননা। কারো প্রশংসা কত্তে কষ্ট হইলে কইরেননা; কিন্তু বানাইয়া বানাইয়া মনগড়া বদনাম কইরেননা। কারো চাইতে নিজেরে বড় দেখাইতে চান ভালো কতা; কিন্তু হেরলাইগা জোর কইরা তাগো চাইপ্যা না ধইরা নিজের যোগ্যতা বাড়ানির লাইগ্যা চেষ্টা করেন! কেউ বিপদে পড়লে পাশে না দাঁড়াইতে চান দাঁড়াইবেননা; কিন্তু আগুনে ঘি ঢাইলা তার বিপদ বাড়ানির কারিগর হইয়েন না। কারো জীবন দিবার ক্ষেমতাতো সৃষ্টিকর্তা মাইনষেরে দেয় নাই; তাই কারো জীবন নষ্ট করার কারণ ও হইয়েননা। কোন নতুন জন্মে খুশি না হইলেও ক্ষতি নাই; কিন্তু কারো মৃত্যুতে আনন্দ পাওয়ার মতো দানব হইয়েননা। কারো উপকার করতেই হইবো তেমন না; কিন্তু অপকার কইরেননা; ভুলে যাইয়েননা অন্যের করা উপকারও।
স্বার্থের জন্য নিজেরে ইচ্ছামতন পাল্টান, সমস্যা নাই ; কিন্তু তা যেন এতটাও না হয় যে, আফনে নিজেই নিজেরে চিনবার না ফারেন! আফনে কাজকর্মে, চিন্তাভাবনায় যতই বেহিসাবি হন, অসুবিধা নাই; আপনার আত্মায় যিনি আছেন, তিনি আফনের সব হিসার ঠিকমতোই রাখতাছেন। তাই অন্যের হাসির কারণ হইতে না পারলেও, কান্নার কারণ হইয়েন না পিলিজ। মোদ্দা কতা দুইদিনের জীবনে অন্যের কাছে নিজেরে এমন অবস্থানে রাইখেননা, যাতে আফনের মৃত্যুর পর লোকে কয়” শয়তানডা মরছে, ভালাই হইছে।” সৎপথে থাইকা, সৎচিন্তা কইরা, অন্যের ভালো কইরা আফনে হয়তো বড়লোক হইয়া যাইবেননা; কিন্তু আফনের লাইগা কারো ভালোবাসার দুইফোঁটা অশ্রু জীবনের ওইপাড়ে হইলেও আফনারে বহুগুণ শান্তি দিবে। তাই হিংসা নয়; যৌক্তিক ভালোবাসার চাষ করেন মনে। অনেক শুভকামনা আফনের লাইগা।
স্যার, ও স্যার.. কী দেখতাছেন অমুন কইরা? আরে ঘাবরাইয়েন না। কতাগুলান আফনেরে কইনাই। নিজেরে নিজেই কইলাম। নিজের বিবেকটারে ঝালাই করার কাজে আফনেরে আইজ সাক্ষী রাখলাম। এইটুকুই। ভালো থাইকেন। ভালো রাইখেন চারপাশ।