আত্মসম্মানবোধ হচ্ছে নিজের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতার পরিমাপ। আপনার কাছে আপনার প্রায়োরিটি কতটুকু? আপনার আচরণে আপনি কতটুকু আস্থাশীল? সাধারণত এই প্রশ্নগুলোর উত্তর থেকেই আত্মসচেতনতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে নিতে পারে যে কেউ। আপনার দ্বারা সম্পাদিত কোন কাজটার জন্য আপনি নন্দিত অথবা নিন্দিত তা শনাক্ত করার চেষ্টা করুন। সচেতনভাবে করণীয়গুলো সেট করুন। নিন্দিত কাজ পরিহার করে নন্দিত কাজে আরও বেশি সময় ব্যয় করুন। আপনার কাজের দায় গ্রহণ করুন। আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক করার চেষ্টা করুন। আত্মসচেতন ও আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি নিজের দায়িত্ব নিজেই নেন। নিজ জীবনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার মাধ্যমে জীবনকে সুগঠিত রূপ প্রদান করতে সদা প্রস্তুত থাকেন তারা। জীবনকে উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উন্নত করার উপায়গুলো শনাক্ত করে সেই পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মমর্যাদাহীন মানুষের জন্য ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়ানোটা স্বাভাবিক। পুরস্কারের আশা ছেড়ে তিরস্কারে তারা অভ্যস্ত। অপরদিকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি তিরস্কারের কথা চিন্তাই করে না বলে সফলতা লাভ তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠে। জীবন একটি আত্মসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সঠিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যথায় আস্তা কুঁড়ে পর্যবসিত হয়। কে আমার ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে, আমাকে সহযোগিতা করবে পরে আমি সফল হবো এমন ভ্রান্ত ধারণা মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। আপনি কোন পরিবারে, কোন সোসাইটিতে বেড়ে উঠেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং আপনি কোন সোসাইটি ডিল করতে চান সেটা ভাবুন, আর সেই অভিযাত্রায় এগিয়ে চলুন। আমি পারি, আমি পারব এমন আত্মপ্রত্যয় একজন মানুষের সফলতার মূল চাবিকাঠি। এমন ব্যক্তি সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে। একমাত্র আত্মবিশ্বাসই পারে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি তৈরি করতে।