একজন ব্যক্তি যদি তার জীবনকে ভিন্ন মেজাজে সাজাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে তার দেখাদেখি অনেক মানুষের পরিবর্তন হবে। ছোট থেকে আমরা বড় হয়েছি রাস্তা-ঘাট, চায়ের দোকান, অথবা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা শুনে শুনে।
সবগুলো সমালোচনা যে গঠনমূলক তা কিন্তু নয়। এমন সব সমালোচনা করি যেগুলো কারো ব্যক্তি জীবনে কোনো সুফল বয়ে আনে না। আরেকজনের সমালোচনা করার আগে নিজেই নিজের সমালোচনা করতে হবে। প্রতিদিন নিজেকে একবার অন্তত আয়নায় নিজেকে দেখতে হবে। আমরা কি করছি, কিভাবে চলছি, আমরা কতটুকু মানুষের হয়ে উঠতে পেরেছি। আমার ভিতরের জাগ্রত শুদ্ধশক্তিকে ভালোবাসতে হবে। নিজের আত্মমর্যাদা আর আত্ম সম্মানকে কাজে লাগাতে গিয়ে কারো ক্ষতির কারণ হচ্ছি কিনা ভেবে দেখতে হবে। পুরো জগত সংসার দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রতিনিয়ত আমরা অনেক সংঘাত, অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আপনি ভালো কিছু উপহার দিতে পারলেই ভালো কিছু পাওয়ার আশা রাখতে পারেন। আমাদের মধ্যে সৃষ্টিশীল কিছু করার সম্ভাবনাময় অনেক ক্ষমতা আছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে না লাগিয়ে আমরা যদি ভাবি ভালো কিছু, বড় কিছু, সুন্দর কিছু আমার দ্বারা সম্ভবই নয়। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন মেধাবী যতটুকু ছিলাম, পথের দিশা ততটুকুই পাইনি, সম্ভাবনাগুলো সব অঙ্কুরেই ঝরে গিয়েছিলো। পারিপার্শ্বিক সমালোচনার ভয়ে আমরা যদি নিজের পরিধিকে ছোট করে ফেলি তাহলে দেখব আমার ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ না ঘটার কারণে সমাজের মানুষকে ভালো কিছু দেওয়া থেকে বঞ্চিত করলাম। প্রতিটি ব্যক্তি নিয়েই একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র। একজন ব্যক্তির উন্নয়নের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের যদি নিজেকে সাজিয়ে তুলি। অপরের সমালোচনার আগে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে সমাজের মানুষকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। কেননা সময় আমাদের পাল্টে দেবে। সময়ের গতিতে মানুষ মানুষকে বুঝতে পারবে যদি মানুষ নিজেকে বদলায় তার আচরণ আর চিন্তার মাধ্যমে। আমাদের পরিবর্তনের মাধ্যমে একটা সময় আসবে যখন সকল আনন্দ বেদনার সম্মিলিত সাক্ষী হয়ে আমরা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব। নিজেকে নতুন করে জানতে এবং চিনতে শেখার মাধ্যমে নতুন দ্বার যেন উন্মোচিত করা যায় সেই প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।