আট মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত

দেশে এক সপ্তাহে করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৭ শতাংশ

| রবিবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের হিসাবে আট মাসে সর্বনিম্ন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬৪ জন। গতকাল শনিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে। গত একদিনে মারা যাওয়া ২৩ জনকে নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৯৯ জনে। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪। ইউরোপ-আমেরিকায় শীতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বাংলাদেশে দিনে শনাক্ত রোগী কম দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার হাজারের নিচে রোগী শনাক্তের কথা জানানোর একদিন পর সেই সংখ্যা ছয়শর ঘরে নেমে এল। ২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে কম রোগী সর্বশেষ শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ মে, সেদিন ৬৩৬ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপর থেকে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছিল। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। তার সঙ্গে শনাক্ত রোগী ১৭ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে মৃত্যু কমেছে ৮ শতাংশ, আবার সুস্থতার হারও কমেছে সাড়ে ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে নতুন করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ২০ ডিসেম্বর। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৮ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৪০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব মিলিয়ে ১৮০টি ল্যাবে ৯ হাজার ৫০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৪৯ হাজার ৪০২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষে চীন রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরো ১১৭ জন শনাক্ত