দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে দুইজন করে এবং সিলেট, হবিগঞ্জ, ঝিনাইদহ, বরগুনা ও ফরিদপুরে বজ্রপাতে একজন করে মারা গেছেন। খবর বিডিনিউজের।
মাদারীপুরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে সদর উপজেলা ও কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের রামারপোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন সঞ্জিব বল্লভ (৩৫) এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী জসিম হোসেন (২০)। মাদারীপুর সদর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিকালে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় সঞ্জিবের। কালকিনি থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিকালে বৃষ্টির সময়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী জসিম তার গোয়াল ঘরে গরু বাঁধতে গিয়ে বজ্রপাত আহত হন। তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। নিহতরা হলেন জাজিরা উপজেলার আমেনা বেগম (২৬) এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার কুলসুম বেগম (৩৮)। পদ্মা দক্ষিণ থানার ওসি শেখ শরীফুল আলম জানান, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে আমেনা তার মাকে খুঁজতে মাঠে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বি এম আনোয়ার হোসেন বালা জানান, স্বামী নেছার উদ্দিন সয়াবিন বাগানে কাজ করছিলেন। তাকে দুপুরের খাবার দিতে মাঠে যান কুলসুম বেগম। এ সময় হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। এতে কুলসুম আহত হন। তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়ারা ইউনিয়নের পাথরগ্রামে এবং কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন খুলনার বটিয়াঘাটার ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত (৫২) এবং কোটালীপাড়া উপজেলার কৃষক আলমগীর শেখ (৫৫)। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে মুরাদ মল্লিক নিজ মরিচ ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলায় সাতপাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাহুবল থানার ওসি মো. মশিউর রহমান। নিহত দানিছ মিয়া (৫৫) ওই গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে এবং উপজেলার চলিতাতলা মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল সন্ধ্যার পর উপজেলার দক্ষিণ শালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. শাহিন উদ্দিন। নিহত হাশেম আলি (৪৫) ওই গ্রামে আরাফাত হোসেনের ছেলে।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত পৌনে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৫) ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।