প্রতারণা, অর্থপাচার এবং মার্কিন ডলারের অন্যান্য অবৈধ ব্যবহার বন্ধে ইরাক সরকার দেশটির আটটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপর ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইরাক সফরে যাওয়ার পর দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থার রয়টার্স। নিষেধাজ্ঞার আরোপ করা ব্যাংকগুলো তাই ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৈনিক ডলার নিলামে অংশ নিতে পারছে না। আমদানি নির্ভর দেশ ইরাকে নগদে ডলার পাওয়ার এটাই প্রধান উৎস। খবর বিডিনিউজের।
ইরানে ডলার পাচার রোধে সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর চিরশত্রু দেশের হাতে ডলার পৌঁছানো রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে ইরাক। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান চিরশত্রু দেশ হলেও উভয় দেশের সঙ্গে ইরাকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইরাকের এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের রিজার্ভ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইরাক তেল থেকে নিজেদের রাজস্ব আয়ের জন্য ওয়াশিংটনের সদিচ্ছার উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। সেই সঙ্গে তেল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থে নিজেদের প্রবেশাধিকার যাতে অবরুদ্ধ না হয় তার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করে চলতে হয়। যে আটটি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার একটি তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
ওই তালিকার একটি কপি রয়টার্সের হাতে পড়েছে এবং একজন কর্মকর্তা ওই তালিকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে ইরাকের প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।