মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কূটনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান খান কায়সারের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– আজ বুধবার দোয়া মাহফিল, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ ইত্যাদি। তাঁর তিন কন্যা মরহুম পিতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, আতাউর রহমান খান কায়সার ১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শহরের চন্দনপুরাস্থ পৈত্রিক আবাস ‘বংশালবাড়ি’–তে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলহাজ্ব ইয়ার আলী খান দুই মেয়াদে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁর মাতা মরহুমা গুলশান আর বেগম ছিলেন গৃহিনী। তাঁর নানা খান বাহাদুর আব্দুস সাত্তার ছিলেন বঙ্গীয় আইন পরিষদ সদস্য। আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামের বিখ্যাত ‘সরকার বাড়ি’ আতাউর রহমান খান কায়সারের পারিবারিক স্থায়ী আদি নিবাস। আতাউর রহমান খান কায়সার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তদানীন্তন চকবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারা–বাঁশখালী–কুতুবদিয়া আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২–১৯৭৭ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং ১৯৯৯ সালে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান খান কায়সার। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সিজেকেএস, চট্টগ্রাম ক্লাব, চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাব, ডায়াবেটিক সমিতি, রোটারি ক্লাব, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। আতাউর রহমান খান কায়সার যৌথভাবে ‘চক্রবাক’ ও ‘মুখর অরণ্য’ নামক দুইটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।