এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচে হেরে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ২–০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে হেরেছে ২–১ গোলে। আর এই হারটা পোড়াচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। যদিও দুই ম্যাচেই ভালো খেলার তৃপ্তি আছে। কিন্তু এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে এখনও পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপও আছে বাংলাদেশের। এবার সামনে স্বাগতিক মালয়েশিয়া। প্রত্যাশা পূরণের পথটা তাই আরও কঠিন। কারন প্রতিপক্ষ হিসেবে মালয়েশিয়া আরো কঠিন । তবে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আশাবাদী। তিনি মনে করেন তার দল নির্ভার। চাপ বরং মালয়েশিয়ার উপরই বেশি। কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। আগের দুই ম্যাচে মালয়েশিয়ার জয় ও হার একটি করে। তুর্কমেনিস্তানকে ৩–১ গোলে হারানোর পর বাহরাইনের কাছে ২–১ ব্যবধানে হারে তারা। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই হার বাংলাদেশের। আর সে দুই ম্যাচে কাবরেরার দলের প্রাপ্তি কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে তাই ভালো খেলাটাই লক্ষ্য এখন বাংলাদেশের। তার উপর ম্যাচটি স্বাগতিকদের মাঠে। মালয়েশিয়ার সমর্থকদের সামনে। যদিও কাবরেরা এতে ঘাবড়াচ্ছেন না। বরং বাংলাদেশ কোচের মনে হচ্ছে সমর্থকদের কারণে চাপে থাকবে মালয়েশিয়াই। বাংলাদেশ কোচ বলেন আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর। তারা তাদের ঘরের মাঠে খেলবে। র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে। এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ তাদের সামনে। আমি মনে করি আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ। এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়তে চাই। ৮ থেকে ১৪ জুন এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। খেলোয়াড়দের মেলেনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তবে বাংলাদেশ কোচের স্বস্তি যে ইনজুরি হানা দেয়নি তার দলে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলায় আমাদের খেলোয়াড়দের সুস্থতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, সব কিছু শেয়ার করছি। দলের ভালোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিতে হচ্ছে। তবে দলের সবাই খেলার জন্য প্রস্তুত আছে। আমরা সবসময়ই জিততে চাই। সব সময়ই এটা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু জিততে হলে খেলায় আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিটা জায়গাতেই ধারাবাহিক হতে হবে। মালয়েশিয়া তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়বে। আমরাও চেষ্টা করব। তাদের ঠেকিয়ে রেখে তাদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।