আজ বাংলাদেশের সামনে আফগানিস্তান

সমীকরণ মেলাতে জয়ের বিকল্প নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

দারুণ এক জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার ফোর পর্বে যাওয়াটা কঠিন করে ফেলল বাংলাদেশ দল। এমনিতেই এবারের এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপটাকে বলা হচ্ছে ‘গ্রুপ অব ডেথ’। কারণ গ্রুপটিতে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই বিপদে। তাই আজ কঠিন এক মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এটি গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। টিকে থাকতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেখানেও আবার অপেক্ষা করতে হবে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ম্যাচ পর্যন্ত। কারণ এই দুই দলের লড়াইয়ে যদি শ্রীলঙ্কা জিতেতাহলে বাংলাদেশ যাবে সুপার ফোর পর্বে। আর যদি আফগানিস্তান জিতে তাহলে তিন দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তখন অপেক্ষা করতে হবে নেট রান রেটের জন্য। তাই আজকের ম্যাচে কেবল জিতলেই হবে না বাংলাদেশকে। সাথে রান রেটের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আবুধাবীর শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে এশিয়া কাপের চলমান আসর শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খায় টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায়। আসরে ২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহে আছে ২ পয়েন্ট। সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার মতো এক ম্যাচ খেলে পূর্ণ ২ পয়েন্ট পেয়েছে আফগানিস্তানও। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় তারা। বাংলাদেশের কাছে হারলেও সুপার ফোরে খেলার সুযোগ থাকবে আফগানিস্তানের। তখন শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে আফগানদের।

কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছেন না অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের জন্য বাঁচামরার ম্যাচ। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে নিজেদের সেরাটা উজার করে দেব।’ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকের আলী মনে করেন, এক ম্যাচ হারে দলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরবে না। কারণ বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য এশিয়া কাপ জয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের যেখানেই খেলি না কেন, সব ম্যাচ জয়ের মানসিকতা আমাদের থাকে। আমরা পরবর্তী ম্যাচেও একই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। এছাড়া আমাদের অন্য কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখানে শুধু ম্যাচ খেলতে আসিনি। আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিটোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা ভালো না। আফগানদের বিপক্ষে ১২ বার মুখোমুখি হয়ে পাঁচবার জিতলেও সাতবার হেরেছে টাইগাররা। এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে দুটিতে হেরেছে তিন ম্যাচে। এশিয়ার কাপে টিটোয়েন্টি সংস্করণে মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২০২২ সালের ঐ ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতেছিল আফগানরা। কাজেই সবদিক থেকেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় কীভাবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে বাংলাদেশ দল সেটাই এখন সবচাইতে বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে আফগানদের স্পিন মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা সক্ষম হবে তা বলা কঠিন। রশিদ, মুজিব, নবীদের পাশাপাশি নুর আহমেদের বোলিং অনেকটাই এগিয়ে রাখবে আফগানদের। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদকে ছাড়াই খেলেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে ফিরতে পারেন তাসকিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে পাচারকালে খাদ্যপণ্যসহ আটক ১১
পরবর্তী নিবন্ধআরাকান আর্মি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে : বিজিবি