টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের সুপার এইট রাউন্ডটা গত সোমবারই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল, দলের ব্যাটারদের সুযোগ মিস। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারায় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে সুপার এইটের পথে বেশ ভালভাবেই আছে বাংলাদেশ। আর সে পথে আজ আরেকটি বাধা টপকাতে হবে। নতুন ভেন্যুতে আজ টাইগারদের সামনে নতুন প্রতিপক্ষ। এবার প্রতিপক্ষের নাম নেদারল্যান্ডস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিসেন্টে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।
এবারের টুর্নামেন্টে ফর্ম বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। কিন্তু টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডসকে দুবার হারিয়েছে টাইগাররা। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় এবং ২০২২ সালে হোবার্টে ডাচদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো টাইগাররা। সব মিলিয়ে চার মোকাবেলায় ডাচদের বিপক্ষে তিনটিতে জিতেছে টাইগাররা। তবে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ঐ হারের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলো টাইগাররা। আবারও অন্য এক বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সাথে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডস বেশ ভাল দল। নেপালকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ডাচরা দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও বেশ লড়াই করেছে। তাই আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে কঠিন লড়াই করবে ডাচরা সেটা বলাই যায়।
আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ বল করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তিনি গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নেদারল্যান্ডসের কাছে আমরা যে ম্যাচে হেরেছিলাম সেটি এখন অতীত। ঐটা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাট। কিন্তু এটা ক্রিকেটের ভিন্ন ফরম্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়ে হৃদয় বিদারক হারের পরও আমরা দল হিসেবে খুব ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের দলের ঐক্য খুবই শক্তিশালী। নিজেদের পারফরমেন্সের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে তাহলে বিশ্বের যেকোন দলকে হারাতে পারি বলেই আমি মনে করি।
তানজিম সাকিব জানালেন, সুপার এইট নিশ্চিতে গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ জিততে মরিয়া বাংলাদেশ। তানজিম বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারটাও এখন অতীত। আমাদের হাতে যে দুটি ম্যাচ রয়েছে সে দুই ম্যাচ নিয়েই আমর ভাবছি। আমরা শুধু এটুকু জানি এই দুই ম্যাচে জিততে হবে আমাদের। আর ঐ দুই দলকে হারানোর ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলেছে। দুটিতেই দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে লিটন, সৌম্য, সাকিব, শান্ত। এই চার জন রান না পেলে দলে আর থাকে কী? তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটের মত হবে না সেটা সবারই জানা। অনেকটাই বাংলাদেশের উইকেটের মত। তাছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট সম্পর্কে বেশ ভাল ধারণা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। তাই নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল এই দুই ম্যাচে জিতে সুপার এইট পর্বে খেলবে বাংলাদেশ সেটাই প্রত্যাশা।