বাংলাদেশ জাতীয় দল, এ দল, এইচপি দল এবং বাংলাদেশ টাইগার্স দলের একঝাক ক্রিকেটার বেশ কিছু দিন ধরে রয়েছে চট্টগ্রাম্ে এরই মধ্যে এ দলের ক্রিকেটাররা চলে গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বাকিরা এখনো চট্টগ্রামে রয়েছে। এদের সাথে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাশ, তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয় সহ সাত জন। মুলত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে এই বেশষ ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং তার পরবর্তী কারফিউর কারনে গত পাঁচদিন এক করম হোটেলে বন্দী ছিল ক্রিকেটাররা। তবে গত মঙ্গলবার এবং গতকাল বুধবার হোটেল ছেড়ে বেরিয়েছে ক্রিকেটাররা। চলমান কারফিউ পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দু দিনই বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই অনুশীলন চলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজকে সামনে রেখেই ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন। এ লক্ষ্যে ক্রিকেটাররা ১৮ ও ১৯ জুলাই চট্টগ্রামে এসেছিল ক্রিকেটাররা। আগে থেকেই চট্টগ্রামে ছিলেন মুশফিক–মুমিনুলসহ লাল বলের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে অনুশীলন করছিলেন তারা। এদিকে চট্টগ্রামে ২৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্প চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যে আজ ২৫ ও আগামীকাল ২৬ জুলাই নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে একটি দু’দিনের ম্যাচ খেলবে ক্রিকেটাররা। এরপর ২৭ ও ২৮ এই দু’দিনের মধ্যে একদিন ছুটি এবং একদিন বিশ্রাম। এরপর ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে একটি তিনদিনের ম্যাচ। ৩১ জুলাই তিনদিনের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই শেষ হয়ে যাবে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের চট্টগ্রাম পর্ব। এরপর ৩ আগস্ট থেকে ঢাকায় শুরু হবে পরবর্তী অনুশীলন পর্ব। পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে এই অনুশীলন। আগামী ১৭ আগস্ট পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এদিকে চট্টগ্রামে টাইগারদের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মাত্র দু’জন বিদেশী কোচ। তারা হলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প এবং পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সহ বাকি কোচরা আসবেন ৩০ জুলাই। চট্টগ্রাম পর্বে ২৫–২৬ জন ক্রিকেটার অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম বহরে রয়েছেন ৩৫–৩৬জন।