সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৪ টিইইউএস কম। অবশ্য বন্দরে জাহাজের আনাগোনা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। বন্দর সূত্র জানায়, ২০২১–২০২২ অর্থ বছরে আমদানি–রপ্তানি মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউএস। ২০২০–২০২১ অর্থ বছরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬ টিইইউএস।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকট, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে মারাত্মক রকমের নেতিবাচক প্রভাব ছিল পুরো বছর। যার ধাক্কা লেগেছে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটাকে কম মনে করি না আমরা। বৈশ্বিক মন্দা, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে গত অর্থ বছরে আমদানির কন্টেনার হ্যান্ডলিং কমেছে। এতে আমাদের সক্ষমতা কম বলা যাবে না। এখনও কন্টেনার রাখার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ জায়গা আমাদের খালি রয়েছে। ইক্যুইপমেন্টও পর্যাপ্ত রয়েছে। সুতরাং আমরা এর চেয়ে অনেক বেশি হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম।’
কন্টেনার হ্যান্ডলিং কম হলেও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে বলে উল্লেখ করে বন্দর সূত্র জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৮২লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন। ২০২১–২০২২ অর্থ বছরে এই পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৮১লাখ ৭৪ হাজার ১৬০ টন। অর্থাৎ এক বছরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৫৮৩ টন। ২০২০–২০২১ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ টন।
সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মোট জাহাজের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৫৩টি। আগের অর্থ বছরে এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৩১টি। ২০২০–২০২১ অর্থ বছরে জাহাজ এসেছিল ৪ হাজার ৬২টি।