আগের দামে কেনা সয়াবিন বেশি দামে বিক্রি

কর্নেলহাটে দুই দোকানিকে জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কর্নেল হাট এলাকায় পুরনো দামে কেনা খোলা সয়াবিন মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রির দায়ে দুই দোকানিকে ৮০ হাজার জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। গতকাল বুধবার দুপুরে চলা এ অভিযানে জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫০ হাজার টাকা এবং বিনিময় স্টোরকে ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ।

অভিযানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্নেলহাটে মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি আগের দামে প্রায় চার হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল কিনে মজুদ করে বাড়তি দামে বিক্রি করছিল। এই কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যেহেতু আগের দামে কেনা, সেহেতু মজুদ করা তেল আগের দামে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিনিময় স্টোর নামের একটি দোকানে ১৭০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ থাকলেও সেটি ভোক্তাদের জন্য ডিসপ্লেতে দেয়নি। তারা পরিচিত গ্রাহকদের মধ্যে যারা বাড়তি দামে কিনতে ইচ্ছুক তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। এ অভিযোগের সত্যতা মেলায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি কম দামে কেনা তেল আগের দামেই বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালিয়ে সিরাজ স্টোর নামের একটি দোকানের তিনটি গোডাউন থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় দোকানের মালিক সিরাজুল হককে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগের দিন রোববার নগরীর ২নং গেটের কর্ণফুলী মার্কেটের মেসার্স খাজা স্টোর নামের দোকানের নিচে সুড়ঙ্গে মজুদ করা ১ হাজার ৫০ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় দোকানের মালিক আবদুল হালিমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পরে উদ্ধারকৃত এসব সয়াবিন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। এছাড়া গত শনিবার রাতে ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত এসব তেল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে বিক্রি করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে প্রসূতির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক এমপি বদির মামলায় সাক্ষ্য দিতে এলেন না বাদী