আক্রান্ত ও আক্রমণকারী : বিভ্রান্তির স্বরূপ

কানাই দাশ | রবিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

এ শতকের প্রথম দিকে বিশ্ব রাজনীতিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়র ইরাক আক্রমণকে বৈধ করার জন্য চৎববসঢ়ঃরাব সবধংঁৎব নামে একটি কথা চালু করেন। যার অর্থ হল আক্রান্ত হবার আগেই আক্রমণ করা বা ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধ করা। ঠিক এ কথাটি বলে ইরাকের কথিত “আক্রমণ” ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট ও ন্যাটো লক্ষ মানুষ হত্যা করে সমৃদ্ধ একটি দেশ ইরাককে ধ্বংস করে দেয়। একেবারে বিধ্বস্ত করে দেয় লিবিয়া, আফগানিস্তান ও সিরিয়াকে। অবশ্যই পুতিন পাশে থাকার কারণে সিরিয়ার আসাদকে গাদ্দাফী ও সাদ্দাম হোসেনের মত জীবন দিতে হয়নি। এশিয়ার এই চারটি সমৃদ্ধ দেশকে মিথ্যা অজুহাতে ধ্বংস করে কয়েক লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এ দেশগুলো এখনো কার্যত ধ্বংসস্তূপ। এ নিয়ে বিশ্ব প্রচার মাধ্যম শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু খবর পরিবেশন করে দায় সেরেছে। বর্তমানে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ঠিক একই অজুহাত বা চৎববসঢ়ঃরাব সবধংঁৎব এর কথা বলে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে যদিও রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বাস্তবেই তা বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করে। তা সত্ত্বেও পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা জানিয়েও যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী মেক্সিকো বা কানাডাতে রাশিয়া যদি সৈন্য ও সমর সম্ভার নিয়ে হাজির হত তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাত? ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়াকে ঘিরে ইউরোপে জাপানে, কোরিয়ায় কেন লক্ষ লক্ষ মার্কিন সৈন্য ও সমর সম্ভার মোতায়েন আছে তা আলোচনায় আসে না কথিত গণতান্ত্রিক বিশ্বে। জো বাইডেন পোল্যান্ডে গিয়ে পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার মাইল দূরত্বে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানে তারও আগে ভিয়েতনামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডকে কি বলা যাবে? ইরাকের ফালুজা ও ভিয়েতনামের মাইলাই হত্যাকান্ড তো গণহত্যা হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে।
মার্কসীয় সমাজতত্ত্বে যুদ্ধকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলা হচ্ছে ডধৎ রং ঃযব ঈড়হঃরহঁধঃরড়হ ড়ভ চড়ষরঃরপং নু ড়ঃযবৎং। ঊনবিংশ শতকের কথা বাদ দিলেও বিংশ শতকের প্রথমার্ধে পৃথিবী প্রথমবারের মতো দুইটি বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে যা সূচিত হয়েছে “গণতান্ত্রিক ও সভ্য” মহাদেশ পুঁজিবাদী ইউরোপে। কেননা পুঁজিবাদী রাষ্ট্র সমূহের নিজেদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতির বিরোধ ও দ্বন্দ্বের কারণে এ দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে পুরো ইউরোপ ও এশিয়ার বিরাট অঞ্চল। নিহত হয়েছে ৭ কোটিরও বেশী মানুষ। লেনিন বলেছিলেন- পুঁজিবাদের সহজাত সংকট হলো এর অসম বিকাশ। আর এই অসম বিকাশের অনিবার্য পরিণতি হলো যুদ্ধ। সে যুদ্ধ চলে উপনিবেশ নিয়ে, অর্থনৈতিক আধিপত্য নিয়ে, সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে। কাজেই যুদ্ধ হলো পুঁজিবাদী রাজনীতির সহজাত আগ্রাসী রূপ। বিশ্ব পুঁজিবাদের জুনিয়র পার্টনার রাশিয়া আজ একটি পুঁজিবাদী লুটেরা রাষ্ট্র। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অলিগার্কি আজ পুতিনকে ঘিরে আছে। ইউক্রেনে পুতিনের আক্রমণকে কোন শান্তি প্রিয়, বিবেকবান, প্রগতিশীল মানুষ সমর্থন করতে পারে না। কিন্তু পুতিন নিজ দেশের নিরাপত্তার প্রয়োজনে এ যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছে শুধু এ শর্তে যে সীমান্তবর্তী দেশ হিসেবে ইউক্রেন ন্যাটোতে যাবে না, জোট নিরপেক্ষ থাকবে। কিন্তু আমেরিকা তা হতে দেয়নি। ১৯৯০ সাল থেকে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে আনার জন্য দেদার অস্ত্র ও অর্থ দিয়েছে। পুতিন প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিদ্বন্ধী ওয়ারশ জোটে অনুপস্থিতিতে ন্যাটোকে টিকিয়ে রাখা ও সম্প্রসারণের প্রয়োজন কী? ১৯৯০ সালে ১৬ সদস্যের ন্যাটো এখন কেন ৩২ সদস্যের বিশাল যুদ্ধ জোটে পরিণত হলো? ১৯৯০ সালের পরে পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ ন্যাটোতে যোগ দেয় বা দিতে বাধ্য হয়। ২০০৪ সালে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বাল্টিক প্রজাতন্ত্রকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাশিয়া তখন তীব্র প্রতিবাদ করেও সংযম দেখিয়েছে। একসময়ের রাশিয়ার অংশ ও রুশ ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার জন্য আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। ইউক্রেনের উগ্র অরুশ শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের নাৎসি কায়দায় অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সংগঠিত করা হচ্ছিল। রুশ ভাষাভাষী পূর্ব ইউক্রেন তথা দনবাস অঞ্চলের মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে কিয়েভ সরকারের নিপীড়নের খবর পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম সম্পূর্ণ চেপে যায়। চেপে যায় ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের হাজার হাজার উগ্র জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদের আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার কথা যারা আজ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। এদেরকেই পুতিন নাৎসি বাহিনী বলছেন। সোজা কথায় রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ হলো পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বারবার দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ন্যাটোকে রাশিয়া সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারণের দীর্ঘ পরিকল্পনার বিপরীতে রাশিয়ার একনায়ক পুতিনের আত্মরক্ষামূলক পাল্টা পূর্বোল্লিখিত চৎববসঢ়ঃরাব সবধংঁৎব। এটা মূলত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চৎড়ীু ডধৎ। বস্তুত মার্কিন পরিকল্পনা ইউক্রেনে সফল হলে রাশিয়া মার্কিন সামরিক বলয়ের মধ্যে আটকে যেত। এরপরও পারমাণবিক পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার আগের মত নিশ্চুপ ভূমিকা পুতিনের পতন ডেকে আনত। মার্কিন হাতের পুতুল জেলেনস্কি এখানে নিমিত্ত মাত্র। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় আক্রান্ত ও আক্রমণকারীর বাহ্যিক রূপ ও প্রকৃত রূপের মধ্যে কোন মিল আছে কিনা নাকি ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উল্টো। শক্তিশালী পশ্চিমা প্রচারমাধ্যম তুলে ধরেছে এক খুনি ফ্যাসিস্ট পুতিনের গাল গল্প, ধ্বংসযজ্ঞের এক ভয়াবহ চিত্র। অথচ গত একমাসের যুদ্ধে অনেক কষ্ট করে জাতিসংঘ সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরীর ইতিহাস ও পটভূমি একটু সংক্ষেপে বলতে হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরই বিজয়ী সোভিয়েত রেড আর্মির প্রত্যক্ষ সাহায্যে জার্মানির পূর্বাংশসহ পূর্ব ইউরোপের ৯টি দেশে স্থানীয় কমিউনিস্ট ও প্রগতিশীলদের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা ঘটে। কন্টিনেন্টাল ইউরোপের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ভূভাগ ও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ কমিউনিষ্ট শাসনের অধীনে চলে যায়। শুরু হয় দুই শিবিরের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বা স্নায়ু যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইঙ্গঁ-ফরাসী শক্তি ১৯৪৯ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউরোপে গড়ে তোলে উত্তর অতলান্তিক চুক্তি সংস্থা বা “ন্যাটো” যুদ্ধ জোট। লক্ষ্য ছিল স্বাভাবিকভাবে সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবরোধ সৃষ্টির জন্য গড়ে তোলে ইউরোপিয়ান ইকনমিক কমিউনিটি বা “ইইসি”। তখন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো রাশিয়ার নেতৃত্বে গঠন করে কাউন্সিল অব মিউচুয়াল ইকনমিক এসিসট্যান্স বা ঈগঊঅ। পরবর্তীতে অনেকটা বাধ্য হয়ে অব্যাহত উস্কানির মুখে ১৯৫৫ সালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে গঠিত হয় পাল্টা কমিউনিস্ট যুদ্ধ জোট “ওয়ারশ প্যাক্ট”। এভাবে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় ইউরোপ। এর মধ্যে চীনে ১৯৪৯ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি ক্ষমতায় চলে আসে। রাশিয়া সর্বশক্তি নিয়ে চীনের পাশে দাঁড়ায়। কোরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র জাতীয় মুক্তির সংগ্রামগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র আর পক্ষে থাকে সোভিয়েত রাশিয়া। বস্তুনিষ্টভাবে ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময় থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সমস্ত সংঘাত ও গণহত্যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে।
১৯৯০ সালে সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটে যার বিশ্লেষণ ও কারণ এখানে ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। প্রাসঙ্গিক হল সোভিয়েত রাশিয়ার বিপর্যয়ের পর পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাও ভেঙ্গেঁ পড়ে। রাশিয়া ও সমস্ত পূর্ব ইউরোপ পুঁজিবাদী পথেই ফিরে যায়। বিলুপ্ত হয় সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক জোট ঈগঊঅ ও যুদ্ধ জোট ওয়ারশ। তখন তো ন্যাটোর অবলুপ্তিও ছিল যৌক্তিক ও স্বাভাবিক। দুই বার্লিন একত্রীকরণের সময় ন্যাটোকে সম্প্রসারণের কোন উদ্যোগ নেয়া হবে না বলে কথা দিয়েও কথা রাখেনি পশ্চিমা দুনিয়া বরং তা সম্প্রসারণ করে রাশিয়াকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা হয়েছে। জো বাইডেন রুশ সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডে এসে কূটনৈতিক শালীনতা বিসর্জন দিয়ে রাশিয়ার শাসক বা রেজিম চেঞ্জের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি দিচ্ছেন। চিলিতে, বাংলাদেশে, পাকিস্তানে, ইরাকে, লিবিয়ায় রক্তাক্ত পথে অপছন্দের “রেজিম চেঞ্জের” দীর্ঘ অভিজ্ঞতা (?) যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। প্রশ্ন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ কদর্য ভূমিকার পরেও সদিচ্ছা থেকে বা কোন স্বার্থছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কোন আক্রমণকারীর বিরোধিতা করতে পারে তা আমরা কি করে এখনো মেনে নিতে পারি? শুধু তাই নয় আজ দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ধর্মান্ধতার যে বাড়াবাড়ি, গণতন্ত্রহীনতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অন্ধ পরিবেশ, ভাবাদর্শগত পশ্চাদপদতা এসবের উস্কানিও ইদ্ধনদাতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান এবং আইএস এর মতো অন্ধ শক্তি মার্কিন মদদে সৃষ্ট। ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন না ছাড়লে মনে হয় রাশিয়া ইউক্রেনে থাকবে। দেশটি সম্ভবত পূর্বতন জার্মানির মত পূর্ব পশ্চিমে বিভক্ত হয়ে পড়বে। অশান্ত ইউক্রেনের আঁচ লাগবে পুরো ইউরোপে। আটলান্টিকের ওপাড়ে থেকে তাতে ইন্ধন যোগাবে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমে মন্দাক্রান্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। শক্তিশালী প্রচার মাধ্যমের বদৌলতে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানাবে। অন্যদিকে পুতিন উগ্র স্লাভ জাতীয়তাবাদের আড়ালে আত্মরক্ষার নামে যুদ্ধান্মোদনা ছড়িয়ে রাশিয়ার বাম প্রগতিশীল আন্দোলনকে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজের স্বৈরাচারী ক্ষমতাকে নিরংকুশ করার কৌশল নেবে। আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের পর এখন পূর্ব ইউরোপ হল মার্কিন সমর কৌশল ও রাজনীতির নতুন ময়দান। এরপর হয়তো অন্য কোথাও অন্য কোনখানে। এটাই হল পুঁজিবাদের টিকে থাকার চিরাচরিত কৌশল।
বিগত চারশ বছরের অভিজ্ঞতা হল পুঁজিবাদ মানে দখল, হত্যা, বিভীষিকা, পুঁজিবাদ মানে মুনাফার যূপকাষ্টে মানবতার বলিদান। কিন্তু ইতিহাস বলে সবকিছুই বদলায়। মানুষ অপরাজেয়, মানবতা অবিনশ্বর। লাতিন আমেরিকা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, হয়তো চীন রাশিয়া নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে ঘুরে দাঁড়াবে। তখন পাল্টে যাবে আজকের ভারত। পৃথিবী আবারো মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে। মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাপ্ত সাহায্যের ৭০ ভাগই ব্যয় শরণার্থী সংস্থার পেছনে
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ এসোসিয়েশনের স্মরণসভা