হলিউডের সিনেমায় উডুক্কু গাড়ির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে অনেক আগে থেকেই। ভবিষ্যত প্রজন্মের এই উডুক্কু গাড়ির দেখা মিলছে এখন বাস্তবেও। স্লোভাকিয়ার আকাশে এমনই এক উডুক্কু স্পোর্টস গাড়ির পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শেষ করেছে ক্লেইন ভিশন ব্রিটিশ ট্যাবলেট মিররের প্রতিবেদন বলছে, এয়ারকার নামের রাস্তায় চলা গাড়িটি তিন মিনিটের কম সময়ে উডুক্কু গাড়িতে রূপান্তরিত হতে পারে। পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে পিয়েস্তা এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়ন করেছে গাড়িটি। দেড় হাজার ফুট ওপরে উড্ডয়ন শেষে সফলভাবে ভূমিতে নেমেও এসেছে এটি। দুই আসনের এক হাজার একশ’ কেজির উডুক্কু গাড়িটি প্রতি ফ্লাইটে দুইশ’ কেজি পর্যন্ত ভর বহন করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, একবারে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে গাড়িটি। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় দুইশ’ কিলোমিটার। খবর বিডিনিউজের।
বোয়িংয়ের জেষ্ঠ্য কারগরি কর্মকর্তা ড. ব্র্যাংকো সার বলেছেন, ‘গাড়িটিকে একটি উড়োজাহাজে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডানা এবং লেজের অংশের উন্নয়ন অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ককপিটে চালক/পাইলট এবং একজন যাত্রী বসার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে এবং সুন্দরভাবে নকশা করা। সার্বিকভাবে রাস্তায় এবং আকাশে উডুক্কু গাড়িটির নকশা দারুণ।’
নকশাকারী ক্লেইন ভিশনের তথ্যমতে, নিকট ভবিষ্যতে এয়ারকারটি, বিনোদনের কাজে বা উডুক্কু ট্যাঙি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্লেইন ভিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী এবং পাইলট অ্যান্টন জাজাক বলেন, ‘এয়ারকারের মাধ্যমে আপনি এয়ারপোর্টে যাত্রা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঝামেলা এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন৷ আপনি এয়ারকারটি গলফ কোর্স, অফিস বা হোটেলে নিয়ে যেতে পারবেন এবং সাধারণ পার্কিংয়ের জায়গাতেই এটি পার্ক করতে পারবেন৷’ এয়ারকারের দাম কতো হবে এবং এটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে, সে বিষয়গুলো খোলাসা করেনি ক্লেইন ভিশন৷ তবে, ইতোমধ্যেই একজন ক্রেতা পাওয়া গেছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির৷