x
মাধ্যমিক শিক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রেখেছে। জাতি সংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ শিক্ষা কমিশন ও ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লকের সমীক্ষায় বাংলাদেশের এ শ্রেষ্ঠত্বের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের গণমুখী কার্যক্রমের ফলে শ্রেষ্ঠত্বের এ গৌরব অর্জন সম্ভবপর হয়েছে। দেশে শিক্ষার অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিকভাবে গৌরবান্বিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মণি ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে অভিবাদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লকের সমীক্ষায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের গণিত বিষয়ে নির্দিষ্ট মানের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে কিনা তা দেখা হয়েছে। এ অর্জনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষক শিক্ষিকা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অবদানও রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিবাদন জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে এখন সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ। স্কুলে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। বিশ্বব্যাংক, ইউনেস্কো, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামসহ আন্তর্জাতিক দাতা ও গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিকে অন্যদের জন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করছে। স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৬ শতাংশের বেশি। আর ৫০ বছর পর এসে এখন দেশে সাক্ষরতার হার হয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। কেবল মাধ্যমিক শিক্ষার পরিসংখ্যানে গেলে আমরা দেখি, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইসের) সর্বশেষ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস, ১৯৭২ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল ৭৯১টি। এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়েছে ২০ হাজার ৮৪৯টি। স্বাধীনতাত্তোর কালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার চ্যালেঞ্জিং ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মধ্যেই বপিত হয় আজকের সাফল্যের বীজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এক সঙ্গে দেশের ৩৭ হাজার প্রাথমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলকে সরকারিকরণ করেছেন। দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় অন্ততঃ একটি করে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য সকল খাতেই ঈর্ষণীয় অগগ্রতি প্রমাণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সবচেয়ে বেশী নিরাপদ ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনার উপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হলে ঘোষিত ভিশন ২০৪১-এর আগেই ইনশা আল্লাহ উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ে উন্নীত হবে বাংলাদেশ।











