আওয়ামী লীগ আমলে ব্যবসায়ীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন : ইসরাফিল খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ২:১১ অপরাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি সদস্য ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে মুনাফাখোর ও সুদখোর রয়েছে। তবে সব ব্যবসায়ী খারাপ না। ভালো ব্যবসায়ীরা ১৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগের আমলে সুযোগ পাননি। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আমিও কোনো লোন পাইনি। এভাবে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ব্যবসায়ী যদি সৎ হয়সেই ব্যবসায়ী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সুযোগ পাবেন। ব্যবসা বান্ধব ইকোনোমি গড়ে তুলবে বিএনপি। সৎভাবে ব্যবসা করলে ব্যবসায়ী যেন হ্যারেসমেন্টের শিকার না হন, সেই ব্যবস্থা করবে বিএনপি। বৈরি পরিবেশে ব্যবসা করা সম্ভব না। আমরা সেই সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চাই।

গতকাল সোমবার খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ‘খাতুনগঞ্জের সংকট ও চ্যালেঞ্জ : বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামের অপূর্ণতা নিরসন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ব্যবসাতেও গণতন্ত্র দরকার। বেশ কয়েক মাস আগে বিএনপির পক্ষ থেকে ইনভেস্টমেন্ট পজিশন পেপার প্রকাশ করা হয়েছে, যার নাম ছিল টার্গেট অব ওয়ান বিলিয়ন ডলার ইকোনোমি। ব্যবসাবান্ধব পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হলে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র দরকার, সেটাই আমরা তুলে ধরেছি। মূল বিষয় হলো, যারা মেধাবী, সৎভাবে ব্যবসা করেনতারা যেন সুযোগ পান। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকতে হবে। কিন্তু গত ১৫ বছর যাবত অলিখিতভাবে কিছু লোকের হাতে অর্থনীতি জিম্মি ছিল। ওই ব্যবস্থা আমরা আর চাই না। আমরা চাই, যেন অর্থনৈতিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। যাদের যোগ্যতা, মেধা রয়েছে, যারা সৎতারা যেন ব্যবসায় সমানভাবে সুযোগ পায়। বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নতুন করে একটা ব্যবসা শুরু করতে তিন মাস দরকার হয়। অথচ বিভিন্ন দেশে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে গেলে মাত্র ১ থেকে ২ দিন সময় লাগে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার আমলাতান্ত্রিক এই জটিলতার লেয়ারকে ছোট করতে হবে। ব্যবসায়কে ফেসিলেট করতে হবে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান। বক্তব্য দেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর পারভেজ, অর্থ সম্পাদক মো. নুরুল আলম মাস্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিউল আলম বাদশা ও রাশেদ আলী, মো. কামাল উদ্দীন, পেশাজীবী পরিষদের নেতা ডা. সরোয়ার শাহেদ, হাজী বেলাল হোসেন, হাজী নুরুল আকতার, এসএম. মফিজউল্ল্যাহ, হাজী ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোর্ট সিটি ভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ৬১তম সভা
পরবর্তী নিবন্ধইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হার