এসএম ইউসুফ চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঝড় তোলা একজন রাজনীতিক ছিলেন। এমন এক নক্ষত্রের দীপ্তি ও প্রতিভার ঝলক নিয়ে তিনি ষাটের দশকে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক আকাশে উদিত হয়েছিলেন যে, উত্তরকালে গোটা দেশে তাঁর নেতৃত্বের প্রভাব অনুভূত হয়েছিলো। একজন মেধাবী, চৌকস, বিচক্ষণ, দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক নীতি ও কৌশলের সঙ্গে হয়তো সবাই সব সময় সহমত হতে পারেন নি কিন্তু তিনি যে একজন প্রতিভাবান, জ্ঞানী, বুদ্ধিমান রাজনীতিক ছিলেন, সে সম্বন্ধে কারো কোন সংশয় ছিলো না। তাঁর অতি বড় সমালোচক, বিপক্ষ এবং বিপরীত মতাদর্শের মানুষও এসএম ইউসুফের প্রশংসা করতে কুণ্ঠিত হতেন না তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতার জন্য। তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে চারভাগে ভাগ করা যায়। ১৯৬২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা-পূর্ব অধ্যায়- স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত পর্যন্ত একটি অধ্যায়, ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদী লড়াই এবং আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে চারণের বেশে সারাদেশ পরিভ্রমণ; অতঃপর আধ্যাত্মিক জীবনের সূচনাকাল এবং তখন থেকে জীবনাবসান পর্যন্ত জীবনের অন্তিম অধ্যায়।
৬২-থেকে ৭১-স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এই সময়টা ছিলো এসএম ইউসুফের ছাত্র রাজনীতির সময়। ভালো ছাত্র হিসেবে তাঁর ছাত্র ইউনিয়নই করার কথা ছিলো, পটিয়া থানার হাবিলাসদ্বীপ স্কুলে অধ্যয়নের সময় ছাত্র ইউনিয়নই করতেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য বিধাতার মনে ছিলো অন্য কিছু। মানুষ যা ভাবে তার বিপরীতটা করাই তো তাঁর বরাবরের অভ্যাস। এসএম ইউসুফের পিতা আবদুল সালাম মাস্টার স্ট্যান্ড করে ম্যাট্রিক পাস করা তাঁর কৃতী পুত্রটিকে চট্টগ্রামের সেরা কলেজ চট্টগ্রাম কলেজে নিয়ে যান ভর্তির জন্য।
পটিয়া থেকে খুব মেধাবী একটি ছাত্র চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়েছে, এ খবর চাউর হয়ে যাবার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর দাদারা তাকে স্ব স্ব দলভুক্ত করার জন্য ওঁৎ পেতে বসেছিলেন। কিন্তু সবার ওপর টেক্কা দেন ছাত্রলীগের কফিল ভাই (সাবেক এমপি)। কফিল ভাইর পিতা ছিলেন এসএম ইউসুফের পিতার বন্ধু। তিনি পুত্রকে বাকলিয়ায় তাঁর বন্ধুর বাড়িতে লজিং দিয়েছিলেন। কফিল ভাই একদিন এসএম ইউসুফকে কাজির দেউড়িতে ছাত্রলীগের অফিসে নিয়ে গেলেন। অফিস মানে একটি দোকানের পেছনে চেয়ার নিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বসেন। সে সময়ের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রলীগ নেতা মুরিদুল আলম সেখানে উন্মুক্ত রাজনৈতিক ক্লাস নেন। এসএম ইউসুফকে সেখানেই ভর্তি করিয়ে দেন কফিল ভাই। এসএম ইউসুফ ছাত্রলীগে দাখিল হয়ে গেলেন। অতঃপর ছাত্রলীগে সূচিত হলো এক নতুন অধ্যায়, যার নাম এসএম ইউসুফ যুগ। আর কোন একক নেতার নামে আগে বা পরে ছাত্রলীগের কোন সময় যুগ চিহ্নিত হয় নি। তাঁর আগে মান্নান ভাই, মুরিদ ভাই, ফেরদৌস কোরেশী ভাই, ছালেহ ভাইদের যৌথ নেতৃত্বে একটি যুগের কল্পনা করা যেতে পারে। তাঁর পরে শহরে মৌলভী সৈয়দ ও মহিউদ্দিন ভাই; জেলায় তাঁর পরবর্তী ছাবের ভাই’র নামে হয়তো কোনো যুগ চিহ্নিত হলেও হতে পারে। কিন্তু ঐসব যুগের প্রভাব কখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি ছাত্রলীগে।
এসএম ইউসুফ যে বছর ছাত্রলীগে যোগদান করেন, সে বছরই শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলনে গর্জন করে ওঠে ছাত্রসমাজ। চট্টগ্রাম শহরে রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই এমন একটি বড় আন্দোলন প্রত্যক্ষ করার এবং ভবিষ্যতে তিনি যে বহু আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বে দেবেন, মিছিলের পুরোভাগে বলিষ্ঠ পদচারণায় স্লোগানে গলা ফাটিয়ে রাজপথ মুখরিত করে যেন তারই মহড়া দিয়েছিলেন সেদিন এসএম ইউসুফ; বাষট্টির আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রথম কারাভোগের অভিজ্ঞতাও লাভ করেছিলেন সে সময় তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজ এক নতুন নেতার সাক্ষাৎ লাভ করলো, যাঁকে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বে বরণ করে নেয়া হলো। এরপর এসএম ইউসুফের যে জয়যাত্রা সূচিত হয়েছিলো, তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
শহীদ মুরিদুল আলম, ফেরদৌস কোরেশী, শায়েস্তা খানের পর যখন ছাত্রলীগে মেধাবী ছাত্রের প্রায় আকাল পড়ে গিয়েছিলো, তখনই মেধাবী এসএম ইউসুফ ছাত্রলীগে যোগদান করে সংগঠনকে গৌরবান্বিত করলেন। বস্তুত এসএম ইউসুফ মেধার সংযোগ ঘটিয়ে ছাত্রলীগের গুণগত রূপান্তর ঘটিয়েছিলেন।
এসএম ইউসুফ নিজে যে চট্টগ্রাম বিজয় অভিযানে বহির্গত হলেন তা’ নয়, ছাত্রলীগকেও জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠনে পরিণত করলেন। ’৬২ সালের দিকে ছাত্র ইউনিয়ন ছিলো বড় সংগঠন, ছাত্রদের ঝোঁক ছিলো সেদিকে। স্কুলে অধ্যয়নকালে এসএম ইউসুফ নিজেও ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, তিনি হাবিলাসদ্বীপ হাইস্কুল ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারি ছিলেন। কিন্তু কলেজে এসে ছাত্রলীগে যোগদান করার পর ছাত্রলীগকে ছাত্রপ্রিয় সংগঠনে পরিণত করা তাঁর জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ালো। ছাত্রলীগের সার্বক্ষণিক কর্মী হয়ে গেলেন তিনি; দিনরাত রাজনীতি নিয়ে মেতে থাকলেন। গ্রামের ছেলে তিনি, গ্রামের প্রতি তাঁর আলাদা টান; তাই গ্রামে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে শহর ছেড়ে গ্রামের দিকেও সাংগঠনিক সফরে যাতায়াত শুরু করলেন। অচিরে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক সমর্থন ও সাংগঠনিক বিস্তৃতি বেড়ে চললো এবং ক্রমান্বয়ে ছাত্র ইউনিয়নের চেয়ে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হলো ছাত্রলীগ।
এসএম ইউসুফের বক্তৃতায় জাদুকরী সম্মোহন ছিলো। কি কর্মীসভা কিংবা জনসভায় তিনি চট্টগ্রামের বিপ্লবী ঐতিহ্য এবং একে একে মনীষীদের নাম উচ্চারণ করে তাঁর বক্তৃতা আরম্ভ করতেন যে, তা দর্শক-শ্রোতার মনে এমন এক আবেগঘন রসায়ন সৃষ্টি করতো যে, তারা মন্ত্রমুগ্ধবৎ কান পেতে শুধু তাঁর বক্তৃতার ধারা শুনে যেত। তিনি বিশ্ব ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন সমুদ্র মন্থন করে উপমা, উদাহরণ, রূপক, প্রতীকের প্রয়োগে শব্দের পর শব্দের মালা গেঁথে গেঁথে এমন বাচনিক মায়াজাল বিস্তার করতেন যে, সেই শব্দতরঙ্গ থেকে উৎপন্ন ধ্বনি সুষমা দর্শক-শ্রোতামণ্ডলীর কর্ণে যেন মধুবর্ষণ করতো। কখনো তারা আবেগে থরথর করে কেঁপে উঠতো, কখনো উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতো, কখনো ক্রোধে ফুঁসে উঠতো। অপূর্ব শব্দ চয়ন, চমৎকার বাক্য বিন্যাসের মধ্য দিয়ে ওজঃগুণ সম্পন্ন গদ্যের এক মহাকাব্যিক প্রদর্শনী হয়ে উঠতো তাঁর বক্তৃতা।
চট্টগ্রাম কলেজে ‘ইউএসপিপি’ নামে একটি যৌথ নির্বাচনী সংগঠন থেকে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। শরিকি সংগঠনে বড় শরিক ছিলো ছাত্র ইউনিয়ন। ৬৩ সালে ইউএসপিপি থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ ‘যাত্রিক’ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এটা এসএম ইউসুফের চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি এবং ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হবার পরের ঘটনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এস এম ইউসুফ পঁচাত্তর-উত্তর নিষিদ্ধ ও সাতাত্তর-উত্তর প্রকাশ্য সময়ে সাংগঠনিক সফরে সমগ্র দেশ চষে বেড়িয়েছেন। আবদুর রাজ্জাক যখন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে বাকশাল গঠন করেছেন, তখন এস এম ইউসুফ তাঁর সহযাত্রী হন এবং ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগ, শ্রমিক ও কৃষক সংগঠন নিয়ে বাকশালের যে সাংগঠনিক কাঠামো, তার গঠন, রূপরেখা ও বিন্যাস-বিস্তারে এস এম ইউসুফ যোগ্য সহায়তা দিয়েছেন আবদুর রাজ্জাককে। তখনই রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে বহু নেতা কর্মীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় তাঁর। তিনি নিজেও বহু কর্মী রিক্রুট করেন, যাদেরকে সযত্ন পরিচর্যা ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি গড়ে তোলেন ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে। তাঁর কাছে দীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীরা উত্তরকালে আঞ্চলিক পর্যায়ে এবং কেউ কেউ জাতীয় নেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি পান। তেমন নেতাদের এখন জেলা ও জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে দেখে এটা বলা যায় যে, এস এম ইউসুফ ছিলেন নেতার নেতা। তিনি ছিলেন কর্মী ও নেতা সৃষ্টির কারিগর, সার্থক পলিটিক্যাল টিচার।
রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে নিঃসন্দেহে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মন্ত্রীও হতে পারতেন। কিন্তু সত্তর দশকের দ্বন্দ্বমুখর আদর্শবাদ বাংলাদেশের সেই সময়ের প্রায় প্রতিটি প্রতিভাবান ছাত্র-যুবনেতার ন্যায় তাঁর মানসলোকেও তীব্র টানাপড়েনের সৃষ্টি করেছিলো।
একা বাংলাদেশ কেন, সেটা ছিলো বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের জোয়াল ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতা এবং সমাজতন্ত্রের অভ্যুদয়ের যুগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সমাজতন্ত্রকে নব অভ্যুদিত বাংলাদেশের অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ‘মুজিববাদ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। এস এম ইউসুফ সর্বপ্রথম মুজিববাদের বুকলেট প্রণয়ন করেন, বুক প্রমোশন থেকে যার এক লাখ কপি ছাপিয়ে দেশের সব জেলায় বিক্রি করা হয়। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মারকগ্রন্থও সম্পাদনা করেন।
পঁচাত্তরের পনের আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে অভাবনীয় হৃদয়বিদায়ক হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির ওপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার নেমে আসে। ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে দলের অসংখ্য নেতা, কর্মী কারাপ্রকোষ্ঠে নিক্ষিপ্ত হন। আওয়ামী লীগকে কার্যত নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করার এবং সুপরিকল্পিত নীলনকশার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পর যাঁরা দলের হাল ধরতে পারবেন তেমন কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অসহযোগ আন্দোলনে তাঁর চার খলিফার অন্যতম যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই দিনে ঘাতকদের হামলায় শাহাদাত বরণ করেন; চার জাতীয় নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়; বঙ্গবন্ধুর অপর দুই খলিফা আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমদ ধৃত হয়ে কারান্তরালে। ষড়যন্ত্রীরা অনেক হিসাব কষেই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত হেনেছিলো, যাতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটির হাল ধরার জন্য কোনো নেতা আর না থাকেন। সংগঠন যখন ভেঙে পড়েছিলো; র্যাঙ্ক অ্যান্ড ফাইলে সমস্ত যোগাযোগ যখন তিরোহিত, দলের এমনি সময়ে কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন এস এম ইউসুফ। এ সময় তিনি ঢাকায় আত্মগোপন করেন এবং ‘শামীম ভাই” ছদ্মনাম গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে চট্টগ্রামে তাঁর সহকর্মী শহীদ মৌলভী সৈয়দ ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহযোগে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ আরম্ভ করেন। এরপর তিনি ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া সারাদেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ আরম্ভ করেন। এবং তাদের হৃত মনোবল ফিরিয়ে এনে তাদেরকে ঘাতকদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাহসে উজ্জীবিত করেন। তাঁর সাহসী পদক্ষেপ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। র্যাঙ্ক অ্যান্ড ফাইলে যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তারপরের ইতিহাস আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনের ইতিহাস। সেখানেও এস এম ইউসুফ নেতৃত্বের ভূমিকায় বলিষ্ঠ অবদান রাখেন।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতি সংগঠক