বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঐক্য ও সমপ্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এদেশকে রংধনু নেশনে পরিণত করতে চায়। অর্থাৎ একটি রংধনুতে যেরকম অনেকগুলো রং থাকে সে রঙের মধ্যে আমাদের ১৭–১৮টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা আছে, বাঙালি যারা আছে সবাই এক একটি রঙ। সব রং মিলে কিন্তু রংধনু অর্থাৎ রেইনবো নেশন বাংলাদেশ। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না। হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সমপ্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম সম্পাদক দিপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, ব্যরিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রেজা। সমপ্রীতি সমাবেশ উদ্বোধন করেন চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া।
এসময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনারা যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন এটার মূল উৎস হচ্ছে যে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। যার যার ভাষা ও ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে, ইতিহাস আছে সেটাকে পালন করবেন। এটার বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের একটি অংশ। এর মধ্যে সব ধর্মের মানুষ আছে। সব সমপ্রীতির মানুষ আছে। সব ইতিহাসের মানুষ আছে। সব ভাষার মানুষ আছে। সবাই মিলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। সকলেই সমানভাবে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা, অধিকার পাবে। এটা আমাদের ধারণ করতে হবে। এটাই হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। আজ সম্মিলিতভাবে আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একটি ঐক্যবদ্ধ জায়গায় যেতে হবে। জাতিকে আজ ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকার থেকে আমাদের মুক্তি লাভ করতে হবে।
প্রধান বক্তা সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। বর্তমান সময়টা জাতির জন্য সবচেয়ে সংকটময়। এ সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা অনেক চ্যালেঞ্জের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত গণতন্ত্র ও শান্তি ফিরে আসবেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ বলেন, শান্তি তখনই আসবে যখন আওয়ামী লীগ বিদায় হবে। আগামীতে আমরা এমন শান্তির সুন্দর বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষ গুম হবে না, খুন হবে না।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছে। তবে এই যুদ্ধ শুধু বিএনপির জন্য নয়, এটা এ দেশের জনগণেরও যুদ্ধ।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. কামরুল ইসলাম, প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, অনিমেষ চাকমা রিঙ্কু, অংজা প্রু চাকমা, প্রকৌশলী দিপু বড়ুয়া, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, প্রীতম বড়ুয়া, সাচিং মারমা, উত্রাসিং মারমা, সুজন বড়ুয়া, বরুণ বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, মোহন বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, চয়ন বড়ুয়া, দীক্ষিত বড়ুয়া, তন্ময় বড়ুয়া প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।