আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত

আজ নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো হবে মহানগর দায়রা জজ আদালতে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কোর্টহিলের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মামলাটি নিম্ন আদালত থেকে ট্রায়াল কোর্ট তথা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে। সেখানেই মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিসহ সকল আইনগত পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফলে মামলাটি এখন সম্পূর্ণরূপে বিচারের জন্য প্রস্তুত। আগামীকাল (আজ) নিম্ন আদালতে থেকে মামলাটি ট্রায়াল কোর্ট তথা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিলদ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে গিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হোক। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি।

আদালতসূত্র জানায়, তরুণ আইনজীবী আলিফ হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৬ নভেম্বর। গত বছরের এ দিনে নগরীর কোর্টহিলের অদূরে মেথরপট্টি এলাকায় খুন হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. মাহফজুর রহমান ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। পরে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চার্জশিটে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করলে চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জন। এ ৩৯ আসামি হলেন সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশ, চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ রমিত দাস, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাশ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাশ, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস, দ্বীপ দাশ ও সুকান্ত দত্ত। এদের মধ্যে চিন্ময় দাশ, চন্দন দাশ, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত, নয়ন, সামীর, শিব কুমার, ওম দাস, অজয়, দেবী চরণ, দুর্লভ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সোহেল দাশ ও সুকান্ত দত্ত গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকী ১৭ জন পলাতক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমশা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগে জোর মেয়রের
পরবর্তী নিবন্ধশতভাগ ট্রেড লাইসেন্স নিশ্চিত করার নির্দেশ মেয়রের