আইন উপদেষ্টার কাছে যে প্রশ্নের জবাব চাইলেন হাসনাত

| শনিবার , ১৭ মে, ২০২৫ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ঘোরাঘুরি করতো, এখনও সেভাবে ঘোরাঘুরি করছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আসিফ নজরুল স্যারেরও ব্যর্থতা।

কোন কোন বিচারপতি আওয়ামী লীগের লোকজনকে জামিন দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করুন। কেন দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে নাজবাব দিন। না পারলে কাদের কারণে পারছেন না, জাতির কাছে পরিষ্কার করুন। স্যার, আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আপনি সে আস্থা নষ্ট করবেন না। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লায় আহত শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জুলাই সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, কুমিল্লার অনেক উপজেলা রয়েছে, আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপিসহ সব দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে। আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রেখে ভালো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাপাসহ ১৪ দল সরকারের কি চিন্তা, তা স্পষ্ট করতে হবে। আমরা রাস্তায় না নামার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। নিজ উদ্যোগে আপনারা কিছুই করছেন না। মানবিক করিডোর নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, সে বিষয়ে আপনাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধীদের অনেকে তদবির বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন, এটা আপনাদের কাজ না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের সাহায্য চাইলে করব, কোনোভাবেই তাদের কাজে ইন্টারফেয়ার করা যাবে না। আপনারা আহতদের পরিবারের কাছে যান, কথা বলুন। সংস্কার নিয়ে কথা বলেন। অন্য কাজে জড়াবেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে এনসিপির এ নেতা বলেন, আগামী ২৬ দিনের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র না এলে, আর এলেও আশাআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে, আমরা আবারও রাস্তায় নামব। আমাদের যেকোনো প্রশ্নে, কুমিল্লার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমার রেসপনসেবলিটি আছে অথরিটি নাই। কোথাও গেলে বলেন আসলেন কেন? না গেলে বলেন গেলেন না কেন? আপনাদের দাবি কুমিল্লা বিভাগ। আশা করছি, অন্তর্বর্তী সরকার কুমিল্লাকে বিভাগ করে যাবেন। তিনি বলেন, আমাদের যখন দেওয়ার সময় হয় উজাড় করে দিই। কিন্তু প্রাপ্তি শূন্য। আওয়ামী লীগ যদি আবার ফেরত আসে, কুমিল্লাকে আলাদা স্টেট করে দেবে। কারণ হাসিনা ও তার বাবার দুঃস্বপ্নের কারণ ছিল কুমিল্লা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, তাদের দাবি বাস্তবায়ন করুন। আমাদের প্রধান দাবি ছিল বিচার। নির্বাচন কমিশনকে আগে সংস্কার করতে হবে। দোসররা যদি নির্বাচন করতে চায়, তারা সশরীরে হাজির হতে সমস্যা কোথায়? তাদের সশরীরে হাজিরের বিধান রাখুন।

এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব নাভিদ নওরোজ শাহ ও জয়নাল আবেদীন শিশির, শহীদ সাদমানের মা কাজী শারমিন, শহীদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল, . ফয়জুল ইসলাম, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের পরিচালক শাহ মো. সেলিম, শহীদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল, শহীদ রবিনের মা পারভীন আক্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান ওয়াসিম, সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে এবার সাড়ে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে মুজিবের ভাস্কর্য