রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিতের পাশাপাশি সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। খবর বিডিনিউজের।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের নিচে এক ব্রিফিংয়ে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা। এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদী
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটাকে আইনে রূপ দিতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। গণহত্যার দায়ে আজ আওয়ামী লীগের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। কিন্তু এখনও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা ও দোসরদের বিচার দৃশ্যমান দেখি নাই। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই, পরিপত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের যেখানেই পাবে, পুলিশ গ্রেপ্তার করবে।’
নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি তুলে আখতার বলেন, ‘গত ১৬টা বছর ধরে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে যে ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল, যে ক্যাপিটাল তৈরি করেছিল, জনগণের সম্পদগুলোকে বিদেশে পাচার করেছিল, পাতানো নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের যেসব দোসর অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেশের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন যে ঢিমেতালে চলছে, তা আওয়ামী লীগের বিচার করার সক্ষমতা রাখে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই।’