দেশের বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা নিয়ে সরকার ওয়াকিবহাল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের অফিস… আওয়ামী লীগ আপনি জানেন, তাদের কার্যক্রম ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশে। তারা বাইরে কী করছে, অবশ্যই আমরা মনিটরিং করছি। তারা যদি বাংলাদেশে বাইরে থেকে এমন কোনো অ্যাক্টিভিটিজ করে যে, আমাদের এখানে ইনস্টাবিলিটি ক্রিয়েট করতে চায়, অবশ্যই আমরা এটা মনিটর করছি; আমরা দেখছি। এই বিষয়ে আরও কংক্রিট ইনফরমেশন পাওয়া গেলে আমরা আপনাদেরকে জানাতে পারব। গতকাল রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ের সময় কলকাতায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় খোলা নিয়ে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন তিনি। ছাত্র–জনতার গণ অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনাবসান হয়। তখন থেকে দিল্লিতে ভারত সরকারের আশ্রয়ে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজের।
জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার উদ্যোগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ধরপাকড়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেতাদের বেশিরভাগের ভারতে অবস্থান করার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। চলতি বছরের মে মাসে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। জুলাই অভ্যুত্থান দমাতে ‘গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার কথা বলা হয়।
এর মধ্যে শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়, কলকাতার উপকণ্ঠে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ। একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধৃত করে ওই খবরে বলা হয়, নিয়মিত দেখা–সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।
ওই নেতা বিবিসিকে এও বলেন, ৩০–৩৫ জনের বৈঠক এ দপ্তরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো যেখানে শদুয়েক নেতাকর্মীর হাজির হওয়ার কথা, সে রকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্তোরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেওয়া হয়।