অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হলে তা অতি সংক্রামক ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই বৃটিশ-সুইডিশ কোম্পানি বলছে, তাদের টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ ওমিক্রন, বেটা, ডেল্টা, আলফা ও গামার মত সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দিতে পারছে। প্রথম দুই ডোজে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি কোনো টিকা নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে বুস্টারে অ্যান্টিবডির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স লিখেছে, বুস্টার ডোজ নিয়ে প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের এই ফল জানালো অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এসব তথ্য উপাত্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিয়ে শিগগিরই তারা বুস্টার ডোজ হিসেবে এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চাইবে।
গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে পুরো বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নতুন করে চাপে পড়েছে। এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার ডোজ নিয়ে আশার আলো দেখা গেল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে উদ্ভাবিত টিকাটির তিন ডোজের কার্যকারিতা নিয়ে গত মাসে গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, দ্রুত সংক্রামক ওমিক্রন ঠেকাতে কাজ করছে প্রতিষেধকটি।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অ্যান্ড্রু পোলার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অ্যাস্ট্রোজেনেকার তিন ডোজ কিংবা দুই ডোজ এমআরএনএ বা নিষ্ক্রিয় টিকার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার নেওয়া হলে কোভিড-১৯ থেকে উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা মিলছে। গেল ডিসেম্বরে ব্রিটিশ এক ট্রায়ালে দেখা গেছে, তিন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা দুই ডোজ ফাইজারের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার ডোজে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফাইজার কিংবা মডার্নার বুস্টার ডোজেও যে শরীর কোভিড প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, তাও উঠে আসে ওই গবেষণায়।