মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় ‘অ্যালকোহল’কে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত। এক রিসোর্ট মালিকের আবেদনে গতকাল সোমবার হাই কোর্ট রুল দিয়েছে, ‘অ্যালকোহলের এমন সংজ্ঞায়ন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না? খবর বিডিনিউজের। বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মদসহ স্বল্প অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিয়ারও মাদকের তালিকাভুক্ত। এই আইনে বাংলাদেশে বাংলাদেশি মুসলমানদের মদপান নিষিদ্ধ থাকলেও বিদেশিদের মদ পানে বাধা নেই। ফলে মদ আমদানির লাইসেন্সও দেওয়া হয়। সেই মদ আমদানি করতে নানা ঝামেলা পড়ার কারণে আদালতে রিট আবেদনটি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আরজে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ২(৫) ধারা চ্যালেঞ্জ করে আবেদনটি করেন তিনি। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল দেয়। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যকে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো আমদানিযোগ্য না এবং নিষিদ্ধ পণ্য। অ্যালকোহল আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য। মাদকদ্রব্য আমদানি বা রপ্তানিযোগ্য না। অ্যালকোহলকে মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় ফেলার কারণে যারা অ্যালকোহল আমদানি করেন বা বিপণন করেন, তাদের নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। যে কারণে আইনের এ ধারাটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালত রুল দিয়েছেন।