অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩ সফল বাইপাস সার্জারি

চট্টগ্রামে বিশ্বমানের সেবার প্রতিশ্রুতি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে সফলতার সঙ্গে হার্টের ৩৩টি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। সাশ্রয়ী খরচে বাইপাস সার্জারির সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানান রোগীরা। পতেঙ্গার বাসিন্দা জানে আলম নামে একজন রোগী বলেন, আমার হার্টে ছয়টি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি লাইফলাইন ব্লক ছিল। ঢাকার একটি হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। এর মধ্যে অ্যাপোলো ইমপেরিয়ালের বিজ্ঞাপন দেখে এখানে আসি। ঢাকার চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কম খরচে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাইপাস সার্জারি করে এখন নতুন জীবন পেয়েছি।

গতকাল দুপুরে নগরীর জাকির হোসেন রোডের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমি যখন চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ পাই, তখন হাসপাতালের স্ট্রাকচার দেখে সত্যি অভিভূত হয়েছি। হোটেল থেকে হাসপাতালে কনভার্ট হওয়ার টেন্ডেন্সি এখানে নেই। তাই আমি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ২১ বছরের চাকরি রিজাইন দিয়ে এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার প্রতি আস্থা রেখে আরও দুজন সহকর্মী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ছেড়ে এখানে এসেছেন শুধু চট্টগ্রামবাসীকে বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার জন্য। এছাড়া আমি সিঙ্গাপুর ও সিডনির বেস্ট হাসপাতালেও কাজ করেছি।

হাসপাতালটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এ এন রাও বলেন, আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। এখানে আমাদের ওপর আস্থা রেখে সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা এসেছেন। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য তাদের এবং এই হাসপাতালের পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে সফল করার জন্য আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও অপারেশনাল টিমের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিদ নবী বলেন, আমরা চাই না আমাদের কাছে হার্টের কোনো রোগী আসুক। কথাটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরোধী হতে পারে। তবে এটি সত্যি। এরপরও যারা অসুস্থ হয়ে আমাদের কাছে আসবেন, তাদেরকে বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি এবং সফলভাবে সেবা দিচ্ছি। লাভলোকসান নিয়ে কোনোভাবেই যেন আমাদের অপারেশনে কোনো প্রভাব না পড়ে। কম খরচে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে আমরা লাভ করছি না তা নয়। মার্জিন প্রফিটে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষের সেবা অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করছি।

হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়াহিদ মালেক বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আসলে ছোট পরিসরে শুরু করেছিলাম। জিরো ইনফেকশন রেট নিশ্চিত করে এমনভাবে সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি, যেন চট্টগ্রামবাসী চট্টগ্রামেই বিশ্বমানের সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, বোর্ড অব ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসাইন, হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সাইফুর রহমান সোহেল, কনসালটেন্ট ডা. আবু সায়েম মো. ওমর ফারুক, কার্ডিয়াক সার্জন ডা. শাখাওয়াত হোসাইন ও কার্ডিয়াক অ্যানেসথেসিয়ালজিস্ট ডা. সুমন শিকদার। উপস্থিত ছিলেন চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. প্রকাশ কেএন ও চিফ মার্কেটিং অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্য্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিংড়িঘের তৈরি করতে কাটা হলো প্যারাবনের ৫ হাজার চারাগাছ
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান