বেসরকারি হাসপাতাল–ক্লিনিকে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে বিপাকে পড়েছেন সার্জারির জন্য অপেক্ষমাণ রোগীরা। ফি বাড়ানোর দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে টানা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেন বাংলাদশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থিয়ালজিস্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার নেতারা। তবে চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতাল এবং কর্পোরেট হাসপাতালগুলো কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।
জানতে চাইলে সোসাইটি অব সার্জন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাইফুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছে। এখন আমরা লোকাল দিয়ে কিছু অপারেশন করছি। ব্লিডিং হয়ে রোগী মারা যাবে নাকি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবসটেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনিকোলিজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা দৈনিক আজাদীকে বলেন, অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসকরা হঠাৎ করে কর্মবিরতি পালন করার কারণে আমরা কিছুটা অসুবিধায় পড়েছি। কারণ আমাদের রোগী বেসরকারি হাসপাতালে সার্জারি করতে চায়। কর্মবিরতির সময়টা আরেকটু কমানো যেত। ৭–৮ ঘণ্টা হলেও ঠিক ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি এটি একটু বেশি হয়ে গেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিএমএ চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থিয়ালজিস্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ান বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শরীফ দৈনিক আজাদীকে বলেন, পৃথিবীর কোথাও আমাদের দেশের মতো অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসকরা এত কম সম্মানী পান না। সার্জনরা প্যাকেজের মাধ্যমে সার্জারি করে টাকা পাচ্ছেন, তার ১০ ভাগের এক ভাগও আমরা পাচ্ছি না। অথচ আমরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। অ্যানেস্থেসিয়া সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মৃত্যুর খবর আপনারা জানেন। আমরা সার্জারিতে প্যাকেজের বিরুদ্ধে। এখানে সবকিছু উন্মুক্ত রাখা উচিত।