তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও জাম্বিয়ার বিপক্ষে অলিম্পিক গেমসে ৬–৫ গোলের নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া নারী ফুটবল দল। দিনের আরেক ম্যাচে ইনজুরি টাইমের দুই গোলে ব্রাজিলকে ২–১ ব্যবধানে পরাজিত করে অঘটনের জন্ম দিয়েছে জাপান। বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন টানা দ্বিতীয় জয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ–বি’র প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী জার্মানীর কাছে ৩–০ গোলের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অলিম্পিক মিশন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। নিসে গতকাল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এক পর্যায়ে জাম্বিয়ার কাছে ৫–২ গোলে পিছিয়ে পড়ে অলিম্পিক থেকে বিদায়ের ক্ষণ গুনছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মাটিলাসরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসে ১১ গোলের নাটকীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয়। ৯০ মিনিটে মিশেল হেম্যান্সের গোলে অস্ট্রেলিয়ানদের স্মরণীয় জয় নিশ্চিত হয়। বিপরীতে জাম্বিয়ার জন্য এই পরাজয় ছিল দারুণ হতাশার। প্রথম মিনিটেই বারব্রা বান্ডার গোলে এগিয়ে যায় জাম্বিয়া। এরপর বান্ডা হ্যাটট্রিক করেছেন, রাচায়েল কুন্ডাঞ্জি করেছেন জোড়া গোল। বান্ডার লিড খুব বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জাম্বিয়া। আলানা কেনেডি দ্রুতই অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফেরান। ২১ ও ৩৩ মিনিটে কুন্ডাঞ্জি ও বান্ডা পরপর দুই গোল দিয়ে জাম্বিয়ার লিড ৩–১’এ নিয়ে যান। দুই মিনিটের মধ্যে এক গোল পরিশোধ করেন হেলে রাসো। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে বান্ডার হ্যাটট্রিকে আবারো দুই গোলের লিড নেয় জাম্বিয়া। ৫৬ মিনিটে কুন্ডাঞ্জির গোলে ৫–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাম্বিয়া। কিন্তু রক্ষণভাগের দুর্বলতায় গত বছরের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পায়। গোলরক্ষক নাগাম্বো মুসোলের ভুলে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পড়ে জাম্বিয়া। এরপর স্টিফ ক্যাটলির ফ্রি–কিক আটকাতে পারেননি মুসোলে। পেনাল্টি থেকে ক্যাটলি ৫–৫’এ সমতা ফেরানোর পর হেম্যান দলের জয় নিশ্চিত করেন।
তারকা সমৃদ্ধ স্পেন ১–০ গোলে নাইজেরিয়াকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় জয়ে গ্রুপ–সি থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে। সাবেক ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এ্যালেঙিয়া পুটেলাস ৮৫ মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে জয়সূচক গোলটি করেন। এর আগে এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইনজুরি টাইমে জাপানের কাছে দুই গোল হজম করে ব্রাজিল ২–১ ব্যবধানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেনিফারের গোলে ব্রাজিল এগিয়ে গেলে ২০১২ অলিম্পিকের রৌপ্য পদক জয়ী জাপান টানা দ্বিতীয় পরাজয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি ছিল। ৯২ মিনিটে অধিনায়ক সাকি কুমাগাই পেনাল্টি থেকে পার্ক ডি প্রিন্সেসে জাপানকে সমতায় ফেরান। চার মিনিট পর ১৯ বছর বয়সী বদলী খেলোয়াড় তানিকাওয়ার ৩০ মিটার থেকে দুর্দান্ত শটে জাপানের জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে প্রথমার্ধে জাপানের মিনা তানাকা পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন।