চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এমন কথা ছিল না। বোর্ড থেকেও এমন কোনো আভাস মেলেনি। জানানো হয়েছিল, অন্যসব কোচিং স্টাফদের মতো হাথুরুসিংহেও অস্ট্রেলিয়া চলে যাবেন। তারপর ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি সামনে রেখে আবার ঢাকায় ফিরবেন। কিন্তু তা হয়নি। টাইগার হেড কোচ হাথুরুসিংহে আর ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প দুজনই পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে গত বুধবার মধ্য রাতে ঢাকায় ফিরেছেন। হাথুরুকে দেখে সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে দুটি ধারণা হয়েছিল। প্রথমত, যেহেতু পাকিস্তান থেকে দলের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন, তাহলে ভারত সিরিজেও যাবেন হাথুরু। ধারণা ছিল, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যে অনুশীলন শুরু হবে, তা পরিচালনার জন্য দেশেই থেকে যেতে পারেন হেড কোচ। সেটিও হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন হাথুরুসিংহে। ফিরবেন ১২ সেপ্টেম্বর। তার সঙ্গে স্বদেশে ফিরে গেছেন ডেভিড হ্যাম্পও। একসঙ্গেই ফিরবেন দুজন। এদিকে হাথুরুর ঢাকায় ফেরা নিয়ে আরও একটি কথা শোনা গেছে। ইতিমধ্যে ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে চাওর হয়ে গেছে সে কথা। বলা হচ্ছে, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে পাকিস্তান থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া যাননি হাথুরু। ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র কয়েকদিন হলো। নতুন সভাপতির মনোভাব ও চিন্তাভাবনা জানতে মুখিয়ে আছেন এই লঙ্কান কোচ। তাই ফারুকের সঙ্গে কথা বলে সব পরিষ্কার করে নিজের ভবিষ্যত কর্মপন্থা স্থির করতে পারবেন তিনি। এমন চিন্তা নিয়েই এক রাতের জন্য ঢাকা এসেছিলেন হাথুরু।
তবে তেমন কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফাররুক আহমেদ এবং বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন আইসিসি ও এসিসির সভায় যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে ফিরে এসেছেন তারা। আর হাথুরু ঢাকা ছাড়েন রাতে। বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ফারুকের সঙ্গে হাথুরুর সাক্ষাৎ হয়নি। তবে এটা এক রকম নিশ্চিত যে ভারত সফর পর্যন্ত হাথুরু থাকছেন টাইগারদের হেড কোচ। জানা গেছে, হাথুরুর কাছেও সে বার্তা পরিষ্কার ভাবে পৌঁছে গেছে। ভারত সফর শেষে হাথুরু কোচ থাকবেন কিনা, তা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সেটা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজেই ঠিক করবেন। সেটা হয়তো ভারত সফরের পরপরই হবে।