আরচার রোমান সানা, অ্যাথলেট জহির রায়হান ও দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম এবং জুনাইনা আহমেদের অলিম্পিকে অংশ নেয়া নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এবার অলিম্পিক নিশ্চিত হলো আরেক আরচারের। তিনি হলেন দিয়া সিদ্দিকী। ওয়াইল্ডকার্ডের মাধ্যমে এই সুযোগ পাচ্ছেন দিয়া। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য। উপরোক্ত খেলোয়াড়রা ছাড়াও ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও আরচার বিউটি রায়ের জন্য ওয়াইল্ডকার্ডের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে বিওএ। প্যারিসের অলিম্পিক গেমস ফাইনাল কোয়ালিফিকেশন এবং আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেজ-৩ থেকে রিকার্ভ পুরুষ ও মহিলা দলগত বিভাগ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বাকি ছিল শুধু মহিলা রিকার্ভ একক। সেখানেও বিউটি রায় ও মেহেনাজ আক্তার মুনিরা হতাশ করার পর দারুণ লড়াই করে কোয়ার্টার-ফাইনালে হেরে যান দিয়া। তবে ওই হতাশার খবরের কিছুক্ষণ পরেই দিয়ার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার খবর এলো। ২০১৯ সালের জুনে আর্চারি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ্সে রিকার্ভ পুরুষ এককে ব্রোঞ্জ জিতে এবারের অলিম্পিকে কোটা নিশ্চিত করেন রোমান সানা। ফলে টোকিও অলিম্পিকের আর্চারিতে দুই বিভাগে লড়বে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) টোকিও অলিম্পিকের জন্য বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট চূড়ান্ত করেছে। ১৯ সদস্যের ওই দলে রাখা হয়েছে মাবিয়া, বিউটি রায়কে। বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট ইতিমধ্যে সরকারের অনুমতিও পেয়েছে। যাদের জন্য ওয়াইল্ডকার্ডের সম্ভাবনা আছে, তাদের জিও করে রাখা হয়েছে। যে কারণেই মাবিয়া, বিউটিদের নিয়েই করা হয়েছে অলিম্পিক দল। যে ১৯ সদস্যের দলের জিও করানো হয়েছে তার মধ্যে ৭ জন ক্রীড়াবিদ। বাকিরা কর্মকর্তা। সেফ দ্য মিশন বিওএর সহসভাপতি শেখ বশির আহমেদ এবং দলনেতা বিওএর কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।