নগরীর বহদ্দারহাটে গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয় পটিয়ার কলেজছাত্র ইমরানুল হক রিয়াদ। ৩৯টি গুলির মধ্যে ৩৩টি বের হলেও শরীরের ভিতর থেকে যাওয়া ৬টি গুলির যন্ত্রণায় অসহ্য জীবন যাপন করছেন তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এ যন্ত্রণা থেকে রেহাই নেই। তবে অর্থাভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে উন্নত চিকিৎসা। এবার রিয়াদ অনন্যোপায় হয়ে অর্থ সহায়তার জন্য দ্বারস্ত হলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দীন ভূঁইয়ার কাছে।
গত রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রিয়াদ তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহ–সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা, সাবেক জেলা যুবদল নেতা এস এম রেজা রিপন, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর মেম্বার ও রিয়াদের ছোট ভাই রিদওয়ানুল হক।
রিয়াদের চাচা রবিউল হোসেন বাদশা জানান, রিয়াদের উন্নত চিকিৎসা যতই বিলম্বিত হচ্ছে ততই তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তারা ৮–১০ লাখ টাকা খরচ করে তার উন্নত চিকিৎসা করাতে সম্পূর্ণ অপারগ। তাই তার চিকিৎসা সহায়তায় সাধ্যমত সবার এগিয়ে আসা উচিত। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, আর্থিক সহায়তা চেয়ে রিয়াদের করা একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি আমি ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবো। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যাতে তার উন্নত চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার যোগান হয়।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট নগরীর বহদ্দারহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন রিয়াদ। এসময় তার শরীরে সর্বমোট ৩৯টি গুলি লাগে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৩৩টি গুলি শরীর থেকে বের করা হলেও মাথা, চোখ, নাক ও মুখে এখনো ৬টি গুলি থেকে যায়। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সামান্য অর্থসহায়তা দিলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সহায়তা না পাওয়ায় কোনোভাবেই উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ইমরানুল হক রিয়াদ নগরীর বাকলিয়া নোমান কলেজের ছাত্র।