জাতীয় সংসদে অর্থপাচার ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘বাধার মুখে’ পড়লেন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তারানা হালিম। গতকাল বুধবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনিবক্তব্য দিতে শুরু করলে কথা শেষ হওয়ার আগেই ফ্লোর চান চিফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী লিটন। তাকে ফ্লোরও দেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। খবর বিডিনিউজের।
নূর–ই–আলম চৌধুরী ফ্লোর নিয়ে বলেন, ‘আলোচনাটা কীসের উপর হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। আপনি কীসের উপর আলোচনা..এটা কি সাধারণ আলোচনা? এটা কি বাজেট অধিবেশন আলোচনা? পয়েন্ট অব অর্ডার হলে এটা কীসের উপর পয়েন্ট অব অর্ডার, সেটা থাকতে হবে, সেটার সময় থাকবে। আপনি পয়েন্ট অব অর্ডারে যদি একজনকে আধাঘণ্টা সময় দেন, তাহলে তো সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি, নীতিমালা কোনোটাই মানা হচ্ছে না। পয়েন্ট অব অর্ডারে অবশ্যই বলতে হবে কী পয়েন্টের উপর, সেটা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এর আগে তারানা হালিম তার বলেন, ‘যানবাহনে সিন্ডিকেট, রাস্তাঘাটে সিন্ডিকেট, বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না, সিন্ডিকেট। অমুক খানে সিন্ডিকেট, চালের গুদামে সিন্ডিকেট, বস্ত্র বিতরণে সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট কারা? আমরা জানতে চাই, নাম প্রকাশ করা হোক। আমরা জানতে চাই পানামা পেপারসে, প্যারাডাইস পেপারে কাদের নাম আছে।’
তারানা বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তার কন্যার (বঙ্গবন্ধুর) আওয়ামী লীগ করি, তাই আমরা চাই না একটি, দুটি, তিনটি লোকের জন্য আমাদের মত যারা তাদের সমস্ত জীবন সততার শপথ বাক্য রক্ষার জন্য ব্যয় করেছেন, তাদের গায়ে একটি ফোঁটা কালি লাগুক। আমি আহ্বান করব, সবার নাম প্রকাশ করা হোক এই সংসদে। কার কানাডায় বাড়ি আছে, বেগম পাড়ায় বাড়ি আছে, কে টাকা পাচার করেছে, কে কালোবাজারি করেছে, সবার নাম প্রকাশ করা হোক।’