আসন্ন ২০২৪–২৫ অর্থবছরের ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, যা চলমান ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সরকারের বাজেটের তুলনায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি। গতকাল রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক সভাপতি ড. আবুল বারকাত ও ড. জামাল উদ্দিন। খবর বাংলানিউজের।
প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাজেট বরাদ্দের ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশের জোগান দেবে সরকারের রাজস্ব আয়। আর বাজেটের বাকি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার ৯৫ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় থেকে ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি–বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব থেকে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা।
আইনুল ইসলাম বলেন, বিকল্প বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ নিট–এর কোনো ভূমিকা থাকবে না, যা চলতি অর্থবছরের সরকারি বাজেটে ঘাটতি পূরণে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আমরা বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক ঋণের দ্বারস্থ হতে চাই না।
এদিকে ১৯৭২–৭৩ অর্থ বছর থেকে ২০২২–২৩ পর্যন্ত ৫০ বছরে পুঞ্জীভূত কালো টাকা ও দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪৪ লাখ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এ অর্থের মাত্র দেড় শতাংশ উদ্ধারের প্রস্তাব দিয়ে সমিতি থেকে বলা হয়, ১৯৭২–৭৩ থেকে ২০২২–২৩ অর্থ বছর ৫০ বছরে দেশে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি কালো টাকা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে মাত্র দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করা হয়েছে। সেখান থেকে আহরণ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা।
একই সময়ে বিদেশে অর্থপাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করেছে সমিতি। এর পরিমাণ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।