অভীক ওসমানের মনন ও নাট্যপরিচয়

ড. ইউসুফ ইকবাল | শনিবার , ২৮ জুন, ২০২৫ at ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

অভীক ওসমান দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীর উত্তাল জলের কলস্রোত আর তার পার্শ্ববর্তী আড়ালিয়ার চরের কাদামাটিমাখা মেট্রোপলিটন নাগরিক। ব্যক্তি হিসাবে তিনি আধুনিক মৌলপ্রত্যয়ের অনুগামী হলেও তাঁর মননজুড়ে রয়েছে নদী, চর, গ্রামীণজীবন, লোকভাবনা, নিসর্গের শীতলতা, আর শেকড়ের চাষবাস। বহিরঙ্গে তিনি কর্পোরেট পার্সোনালিটিঅন্তরঙ্গে তাঁর সোঁদামাটির সুরভিত কোমল হৃদয়। তিনি একই সাথে প্রেমিক এবং শ্রমিক। সংগ্রাম মিশে আছে তাঁর জীবনের বিবিধ প্রান্তে। সেসংগ্রাম ব্যক্তিগত সীমানা অতিক্রম করে স্পর্শ করেছে জাতীয় জীবনের পরিবর্তনের বাঁকে বাঁকে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে শ্রেণিহীন, শোষণহীন একটি মানবিক কল্যাণকামী সমাজ অন্বেষণের তিনি অগ্রসৈনিক। পুরো যৌবন তিনি নিবেদন করেছেন দেশমাতৃকার প্রেমেসমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের সংগ্রামে। সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে তিনি স্বপ্ন দেখেছেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন একটি সমাজকাঠামো, যেখানে মানুষ বিকশিত হবে নিজের ইচ্ছায়স্বাধীনভাবে। জীবনের বর্তমানপ্রান্তে এসে এখনও তিনি লালন করেন অভিন্ন বিশ্বাস।

চন্দনাইশের বরমা ইউনিয়নের ফোরখ মাস্টারের ছেলে অভীক ওসমান পিতার পেশাকে অঙ্গীকার করে মনেপ্রাণে শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। বরমা কলেজ দিয়ে শুরুও করেছিলেন শিক্ষকতার জীবন। কিন্তু তাঁর মননে লালিত সমাজ বদলের অঙ্গীকার, রাজনীতিচেতনা আর সাহিত্যসংস্কৃতির তীব্র টান তাঁকে শহর চট্টগ্রামে স্থায়ী হতে বাধ্য করে। শহর চট্টগ্রামে এসে তিনি নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন আর্থসামাজিকরাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। পেশাজীবনে কর্পোরেট কর্মকর্তা হিসাবে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সাহিত্যসাংস্কৃতিক চর্চায়ও তিনি একজন ঋদ্ধপ্রাণ কর্মী। ‘আমি অকৃতি অধম’ বলে নিজেকে পরিচয় দিলেও অভীক ওসমানের কর্মকীর্তির পরিচয় বিপুল বৈভবে পূর্ণ। চট্টগ্রামের সাহিত্য সংস্কৃতির আঙ্গিনায় তিনি বিবিধ পরিচয়ে পরিচিত। তবে তাঁর সাংস্কৃতিক কর্মতৎপরতার বড় অংশজুড়ে রয়েছে নাটক। নাটককে তিনি মনে করেন ‘শিল্পের সোভিয়েত’। চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনে তিনি বহুমাত্রিক নাট্যজন। নাটকের রচনা, গবেষণা, সংগঠনিক পরিকল্পনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁর স্বকীয় অবদান রয়েছে। কলেজ জীবন থেকেই তিনি নাটকের সংস্পর্শে আসেন মূলত নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদের প্রভাবে। নিয়মিত নাট্যচর্চায় আসেন ১৯৭৫ সালে গণায়ন নাট্য সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে। এপর্বের নাট্যগুরু হিসাবে তিনি সগর্বে উচ্চারণ করেন নাট্যকার মিলন চৌধুরীর নাম আর লিডার মেনেছেন দেওয়ান মাকসুদকে। তাঁর রচিত ৫টি নাটকের মধ্যে ৪টির মঞ্চায়ন করেছে গণায়ন। অদ্যাবধি তিনি এদলের সাথেই সম্পৃক্ত আছেন। তাঁর সমুদয় নাট্যচর্চাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়এক ভাগে রয়েছে নাট্যবিষয়ক আলোচনা, গবেষণা; অন্যভাগে রয়েছে নাট্যরচনা। প্রকাশিত নাট্যবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ– ‘প্রয়াত পাঁচ ও ইবসেন’। তাঁর রচিত এবং মঞ্চায়িত নাটকের সংখ্যা পাঁচটি– ‘তিরোহিত সুন্দর আমার’ (১৯৭৫), ‘রাত ফেরার’ (১৯৭৬), ‘সমুদ্রে অন্ধকার’ (১৯৮০), ‘অবশেষে জেনারেল’ (১৯৮৬), ‘শংখ উপাখ্যান’ (১৯৮৯)। প্রথম নাটকটি প্রকাশের পূর্বেই হারিয়ে যায়। অন্য চারটি গ্রন্থাকারে সংকলিত হয়েছে ‘নাট্য চতুষ্টয়’ (২০১৭) শিরোনামে।

অভীক ওসমানের প্রথম নাটক ‘তিরোহিত সুন্দর আমার’ (১৯৭৫) চট্টগ্রাম কলেজের ‘বিবর্তন’ পাঠচক্র কর্তৃক ২ জুন ১৯৭৬ মুসলিম হলে মঞ্চস্থ করে। তৎকালীন অরিন্দমের চৌকশ অভিনেতা খালেদ নোমান নমি ও প্রশান্ত রক্ষিত প্রত্যক্ষভাবেএবং সাময়িকভাবে প্রখ্যাত নাট্যজন এস এম সোলায়মান নাটকটির নির্মাণ ও প্রদর্শনীর সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে পুরবী ললিতকলা একাডেমি থেকে নাটকটি দ্বিতীয়বার মঞ্চস্থ হয়। যতদূর জানা যায়নাটকটি সমকালীন বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে রচিত। ব্যক্তি, সমাজসহ প্রতিবেশ বাস্তবতা থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে সুন্দরের প্রকাশ। অসুন্দরের আধিপত্যে কলুষিত হচ্ছে আমাদের চারপাশ। এই বিষণ্ন বাস্তবতায় মানুষের যাপিত জীবনের স্বরূপ উঠে এসেছে নাটকটির আখ্যানে। কিন্তু, প্রকাশের পূর্বে এনাটকের বক্তব্যকথার মতোইপুরো নাটকটি হারিয়ে যায়। এই হারানোর সাথে নাট্যকার তাঁর প্রথম সন্তানশুভ্রকে হারানোর বেদনা খুঁজে পান।

মধ্যসত্তরের দশকে রাজনীতির এক জটিল ঘূর্ণাবর্তের কালে রচিত হয় ‘রাত ফেরার’ (১৯৭৬)। নাটকটির আখ্যান ও চরিত্রে লেখকের বাস্তব জীবনাভিজ্ঞতার ছায়া পড়েছে। এসময় তিনি সমাজ রাজনীতি ও সংস্কৃতিকে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। সমাজে বিরাজমান অস্থিরতা, অশুভশক্তির উত্থান, অবক্ষয় ও হতাশার বিপরীতে তরুণ প্রজন্মের নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা উঠে এসেছে নাটকটিতে। এনাটকের একটি চরিত্রে সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের এক স্বপ্নিক সংগ্রামীর বাস্তবজীবন সরাসরি প্রতিফলিত হওয়ায় এবং নাটকটির বক্তব্য এতই উদ্দীপনাপমূলক ছিল যেতরুণদের মাঝে এর চেতনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়তৎকালীন জেলাপ্রশাসন নাটকটির প্রথম দৃশ্য সেন্সর করে দিয়েছিল। ১৯৭৯ সালে গণায়ন নাট্যপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর নাটকটি দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে মঞ্চস্থ হয়।

সমুদ্রে অন্ধকার’ (১৯৮০) শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক তরুণের তীব্র মনোবেদনার আখ্যান। এক শীতের রাতে অরণ্যের নির্জন মন্দিরে ধূপধোঁয়ার আবরণ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে অতীতের যুগল মানব। তাদের স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে নাটকের আখ্যান অগ্রসর হয়। এনাটকের আখ্যানের গভীরে উঠে আসে মানব যুগলের কৈশোরের স্মৃতি ব্যথা কাতরতার ভাষ্য। যে জীবন ছিল– ‘সর্ষে ফুলের ক্ষেত, যেন হলুদ রোদের চাদর’ দিয়ে আবৃত। যে জীবন ছিল স্বপ্নের তুলিতে আঁকাপ্রকৃতির প্রশান্ত রাজ্যে বেড়ে ওঠা কল্পনার রাজপুত্র, রাজকন্যার মতোরঙিন আর অপার প্রত্যাশাময়। জীবনের এই রঙিন উৎসব একদিন কিশোরকে ছেড়ে চলে যেতে হয়। পেছনে পড়ে থাকে তার ‘গেরুয়া যুবতী নদী, কিশোর শ্যামল গ্রাম’, স্মৃতিময় শঙ্খ, ধানক্ষেত, অঘ্রানের মাঠ, ফুল পাখি প্রজাপতি আর শৈশবের প্রাণের সখী। শহরে এসে সে জড়িয়ে পড়ে জীবনের নতুন অধ্যায়রাজনীতির পাঠে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাবাংলাদেশের অভ্যুদয়। কিন্তু তরুণের মন মানেনা। মানুষের ভাগ্য আর দিন বদলের স্বপ্নে শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। সমগ্র জীবনকে সে উৎসর্গ করেছে মানবমুক্তির সংগ্রামে। জীবনের এক পর্যায়ে সে অনুভব করে সামষ্টিক জীবনের কথা ভাবতে গিয়ে সে নিজের ঠিকানা হারিয়ে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন, একা, নিঃসঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন সে কোথায় যাবে? জীবনের প্রৌঢ়বেলায় সে আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড়ায়– ‘আমি কি আমার শৈশবের কাছে ফিরে যেতে পারি? শঙ্খ, মা, গ্রাম, সখিনাতারা কেউ কি সাড়া দেবে? কেউ কি ফিরে এসে আমাকে কোল দেবে?’। ‘সমুদ্রে অন্ধকার’ শেষ পর্যন্ত শেকড় ও শৈশবের খোঁজে নিঃসঙ্গ ও শূন্যহৃদয় এক যুবকের বুক ফাটা আর্তনাদের নাট্যভাষ্য হয়ে উঠেছে।

অবশেষে জেনারেল’ (১৯৮৬) সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রচিত প্রতিবাদের শিল্পিত উচ্চারণ। পুরো আশির দশক স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছিল নাটক। অভীক ওসমানের ‘অবশেষে জেনারেল’ সেই প্রতিবাদের যোগ্য শব্দাস্ত্র। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার এদেশের শিক্ষা, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্যসংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ সমুদয় ক্ষেত্রকে কলুষিত করেছে। দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করেরাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করে, সংবিধানকে উপেক্ষা করে, ভোটাধিকার রহিত করেএক অরাজক পরিস্থিতি কায়েম করেছিল তৎকালীন সামরিক প্রশাসন। এনাটকের জেনারেল ক্ষমতারোহনের পরপরই রেডিও ভাষণের মাধ্যমে জানিয়ে দেনজাতির ক্রান্তিলগ্নে, বেহাল রাষ্ট্রের হাল ধরা এবং দ্বীনের সেবা করার জন্যই তিনি ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন। রাষ্ট্রের শৃঙ্খলার জন্য তিনি সামরিক আইন জারি করে সকল মিছিল মিটিং এবং সংবিধান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এরপর শুরু হয় তার দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন। এক দশক ধরে স্বৈরাচারী সরকার বুটের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করেছে মূল্যবোধ, মুক্তবুদ্ধি ও মানবতা। এই অপশাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয় ছাত্রজনতা। তাদের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। অবশেষে প্রতিবাদী গণজোয়ারের কাছে পরাজিত হয় অপশাসক। কিন্তু এই জয়ে নাট্যকার সন্তুষ্ট থাকেননি। নাটকের শেষে তিনি সমাজের বৃহত্তর মুক্তির লক্ষ্যে গণমানুষকে প্রস্তুতির আহ্বান জানান।

অভীক ওসমানের ‘শংখ উপাখ্যান’ (১৯৮৯) অসাম্প্রদায়িক এক জনপদের সংগ্রামশীল মানুষের নাট্যভাষ্য। নাটকটি তিন পর্বে সম্প্রসারিত। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের আখ্যান, পকিস্তানের অপশাসনবিরোধী আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত এনাটকের কাহিনী বিস্তৃত। শঙ্খ নদীর তীরবর্তী মানুষের নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়বাহী এনাটকে যুক্ত হয়েছে মানুষের সংগ্রামী চেতনা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের আড়ালিয়ার চরেবাইনজুরী গ্রামে প্রতিবছর পৌষের শেষ সংক্রান্তিতে সাধু শুক্লাম্বর ভট্টাচার্যের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় ‘শুক্লাম্বর দিঘির মেলা’। সাধু শুক্লাম্বর এজনপদে প্রণম্য সকল সম্প্রদায়ের কাছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিশেষতবন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে সবাই আসে এমেলায়। এই মেলাকে কেন্দ্র করে নাটকের সূত্রপাত হলেও মেলার সূত্র ধরেই নাট্যকাহিনী যুক্ত হয় অতীত ইতিহাসের ধূসর আখ্যানের সাথে। সেখানে শঙ্খের তীরে বেড়ে ওঠা সাধু শুক্লাম্বর, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ক্যাপ্টেন শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা সবুর প্রমুখ সংগ্রামী মানুষ আপন পরিচয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে। স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকসমূহ স্পর্শ করে ‘শংখ উপাখ্যান’ শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে শঙ্খ তীরবর্তী মানুষের নিরন্তর মুক্তিযুদ্ধের আখ্যান। তাতে বিরূপ বাস্তবতায় প্রান্তিক মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নাট্যআখ্যানে এসংগ্রাম দ্বিমুখী। একদিকে প্রতিপক্ষ প্রকৃতির বিরূপতাঅর্থাৎ বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি অন্যদিকে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকঅর্থাৎ ব্রিটিশ ও পাকিস্তানপর্বের ঔপনিবেশিক শাসনশোষণ, বাংলাদেশপর্বে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত ও স্বৈরাচারের অপশাসন। বিরূপ বাস্তবতায় থেকেও এজনপদের মানুষরা কখনো হতাশ হয় না। তারা বুক ভরা আশা নিয়ে বসতি গড়ে। তারা স্বপ্ন দেখেশোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী এক সমাজ বিনির্মাণে অচিরেই এগিয়ে আসবে আরেক নতুন প্রজন্ম।

নাট্যকার অভীক ওসমান স্বপ্নবান। তাঁর প্রতিটি নাটকে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত হয়েছে। কোনো না কোনোভাবে সমকালীন সমাজ ও আর্থরাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ স্পর্শ করে যায় তাঁর নাটক। নগর এবং গ্রামীণউভয় প্রেক্ষাপটে নাটক রচনায় তিনি পারঙ্গম। কাব্যময়, আলঙ্কারিক ও রূপকাশ্রিত ভাষায় রচিত তাঁর নাটকে ব্যক্তির বহিরাঙ্গিক ও অন্তর্জাগতিক বোধের বিচিত্র প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। তাই, অপ্রতুল হলেও অভীক ওসমানের নাটক আঙ্গিক, বিষয় ও বক্তব্যের বিচারে আমাদের গভীর অভিনিবেশ দাবি করে।

লেখক

শিক্ষক ও নাট্যচিন্তক

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রগতিশীল নাগরিক সমাজের ৬ ওয়ার্ডের যৌথ সভা