ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ‘প্রস্তুত’ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, তারা কোনো ধরনের অভিযোগ নিতে রাজি নন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার প্রত্যয়ের কথা বলেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন নাসির উদ্দিন। এ সময়ে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার কথাও বলেছে সিইসি। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের নেতৃত্বে মার্কিন দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করতেই এই বৈঠকে বসেছিলেন জ্যাকবসন। খবর বিডিনিউজের।
সিইসি বলেন, মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রস্তুতি বুঝতে এসেছিলেন। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি, বিশেষ ধরনের সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির কথা জানিয়ে আমাদেন চিঠি দিয়েছিলেন। রমজানের আগে ভোটের কথা বলেছেন। আমরা প্রস্তুতি জোরদার করেছি এটা ঠিক। তবে প্রস্তুতি আগেই শুরু করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি রোডম্যাপও ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, নানা ধরনের টানাপোড়েন আছে। সেজন্য হয়ত সময়টা ঠিক করতে একটু সময় লেগেছে। আমরা চেয়েছি আমাদের ওপর যেন প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয় এই ধরণের ব্লেম যেন না আসে। আমরা কোনো ধরণের ব্লেম নিতে রাজি নই। সেই জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত এক ধরনের বোঝাপড়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করেন সিইসি।
চলমান মব সংস্কৃতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের সময় থাকবে না বলে মনে করেন নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, উনি (জ্যাকবসন) জানতে চাইলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোনো পার্টির ওপরে যদি মব সৃষ্টি হয়, তাহলে কী হবে?’ আমি বললাম, ইলেকশন তো এখনো দেরি আছে। যখন ৩০০ আসনে একদিনে ভোট হবে, তখন তা (মব) ৩০০ জায়গায় ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করে ওরা দেখবেন, যে যার যার আসনে চলে গেছে। একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না, ঢাকা শহর খালি হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করতে চাইবে, তারা সুবিধা করতে পারবে না।
গুজব কানে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, একটা কথা তিনি (ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন) ফাঁক দিয়ে বলেছেন গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে। আমি বলেছি–এই দেশটা গুজবের দেশ। তিনি আবার গুজবটা দূর করতে চাই। আমি গুজব কানে না নিতে বলেছি।
সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।