আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি অর্ধশত বছরেরও অধিক সময় যেখান থেকে মধ্যরাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শিক্ষকের রক্তাক্ত লাশ বেরুয় সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফতাব হোসেন স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ৩ সেপ্টেম্বর রাত বারোটায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে, শুধু তা-ই নয় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীও। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় হাজার খানেক শিক্ষক, দশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী কিভাবে যুগের পর যুগ একইভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে! আর কতো প্রাণ যাবে! আর কত-শত শিক্ষক এভাবে নিজের তাজা রক্ত জোবরার এক নং গেইটে বিসর্জন দেবে? উনারও তো বাঁচার অধিকার ছিলো! আজ এই ঘটনায় বিশ্বের কাছে লজ্জিত হলো চট্টগ্রাম, লজ্জিত হলো বাংলাদেশ। মার্মান্তিক এই ঘটনার কথা চিরজীবন মনে রাখবে সবাই। আমরা ভুলবো না আমাদের স্যারের আত্মত্যাগ। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং গেইটে স্পীডব্রেকার এবং পর্যাপ্ত গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।
তাছাড়া প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরে সিএনজি, রিকশার অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে বহুবার নির্যাতিত হয়েছে ছাত্র ভাইয়েরা। বহুবার লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কখনোই কাম্য নয়। যেখানে বুদ্ধির মুক্ত চিন্তা, নিজ স্বাধীনতায় ছাত্র ছাত্রীরা মেধাকে বিকশিত করার প্রয়াস পাবে সেখানে মার খেতে হচ্ছে। হলগুলোর খাবারের নিম্নমানের কারণে শত-শত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে প্রতিনিয়ত মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করতে এসে জীবন বিসর্জন দিলে তাদের পরিবার চালাবে কে! প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটা কথাই বলবো, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে জোর দাবী জানাচ্ছি যে, অনতিবিলম্বে এসব অব্যবস্থাপনা উচ্ছেদ করে শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক প্রাচ্যের আমাজন খ্যাত আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।