নগরীতে চলাচল করে কয়েক হাজার অবৈধ সিএনজি টেক্সি। শহরের বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে চলাচলকারী এসব টেক্সির বৈধ কাগজপত্র নেই। এদিকে নগরে টেঙিকে যাত্রীদের জন্য নিরাপদ করতে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ কর্মসূচি নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। কিন্তু এই কর্মসূচির অধীনে অবৈধ টেঙি ভেরিফায়েড করা ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে পুলিশের এই কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন নগরবাসী। অবশ্য নগর পুলিশের পদস্থ একজন কর্মকর্তা আজাদীকে বলেছেন, বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
নগরীর ব্যস্ততম জংশন বহদ্দারহাট মোড়। এখানকার সড়কে দীর্ঘদিন ধরে বিশৃঙ্খল অবস্থা। সড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ির স্ট্যান্ড বানিয়ে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চাঁদা। চান্দগাঁও থানার পঞ্চাশ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে গ্রাম সিএনজি টেক্সির স্ট্যান্ড। এসব টেঙির শহরে চলাচলের অনুমোদন নেই। টেঙিগুলোর রেজিস্ট্রেশনও নেই। নেই নম্বর ও পারমিট। অথচ সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট চাঁদা দিয়ে অবৈধ এসব গাড়ি চলাচল করছে।
বহদ্দারহাট হাসান বেকারির সামনে গড়ে তোলা স্ট্যান্ড থেকে টেঙিগুলো খাজা রোড হয়ে বাকলিয়া থানার বলিরহাট পর্যন্ত চলাচল করে। চালকরা জানান, গাড়িপ্রতি দৈনিক পঞ্চাশ ও মাসিক দেড় হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন। কাদের নামের এক ব্যক্তি স্ট্যান্ডটি পরিচালনা করেন। চাঁদা তোলার জন্য ৪/৫ জন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা টেঙিগুলো থেকে চাঁদা আদায় করে।
গ্রাম সিএনজি টেঙি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, টমটম, মোটর রিকশা, এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, এক গাড়ির নম্বর অন্য গাড়িতে, এমনকি চুরির গাড়িও এই স্ট্যান্ড থেকে চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু বহদ্দারহাট নয়, শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে স্ট্যান্ড বানিয়ে চলছে অবৈধ টেঙি। এসব গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব গাড়ির ক্ষেত্রে কী করা হবে সেই প্রশ্ন নগরবাসীর।