নগরীর চকবাজার ধুনিরপোল ডিসি রোডে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল দুপুরে উদ্বোধন শেষে চকবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা গণসংযোগ করেন তিনি। এসময় নির্বাচিত হলে নগরের স্বাস্থসেবার উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার অষ্টম দিন। এদিন ধুনিরপোল থেকে গণসংযোগ শুরু করে সিরাজুদৌলা রোড, চন্দনপুরা, গণি বেকারি, কলেজ রোড, অলি খাঁ মসজিদ মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও আশেপাশের এলাকা, পাঁচলাইশ বড় গ্যারেজ, কাতালগঞ্জ হয়ে তেলিপট্টি মোড় এলাকায় শেষ করেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
প্রচারণায় ডা. শাহাদাত বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। জনগণের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখাই আমাদের কাছে মুখ্য। চট্টগ্রাম এখন করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ক্যান্সার রোগীও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামবাসীর নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি শহরের জন্য আমরা জনগণের দল হিসেবে জনগণের পাশে আছি এবং থাকবো। নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক বিশেষায়িত করোনা মহামারী হাসপাতাল এবং একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত যেসব নগর স্বাস্থকেন্দ্র এবং হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোকে উন্নত, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও সংস্কার করার পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে মা শিশু এবং বয়স্কদের জন্য রোগ নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য ছয় থেকে সাত বেডের এনআইসিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে মা শিশুদের উন্নত সেবার পাশাপশি বয়স্কদের বাত-ব্যথাসহ নানান রোগের চিকিৎসা নিজ এলাকায় পেতে পারেন।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, ছাত্রলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র সাধারণ ভোটার ও বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে। তাই নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের পূর্বে সকল বৈধ অস্ত্র জমা নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সাড়াশি অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান কিংবা বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেয়ায় প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝঁনঝনানি, হানাহানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি ও ছুরিকাঘাতে ২ জন নিহত হয়েছে।
পথসভায় অংশ নিয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যোগ্য প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন চকবাজার ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দীন কায়সার লাবু, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী পারভীন আক্তার চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শামীমা নাসরিন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, জেলী চৌধুরী মো. সেকান্দর, আব্দুল্লাহ আল ছগির, মনজুর আলম মনজু, বিএনপি নেতা শফিকুল আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, আমিন মাহমুদ, আবু আহমেদ, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, ইসমাঈল বাবুল, খায়রুজ্জামান জুনু, হাজী মো. এমরান, এম এ হালিম বাবলু, এমদাদুল হক বাদশা, সহ সভাপতি নাছিম চৌধুরী, নুরুল আলম শিপু, হাজী মো: ইউসুফ, জমির উদ্দিন বাবলু, আব্দুল কাদের, আইয়ুব খান, হাফেজ আহমেদ, জসিম উদ্দীন, মো: আলাউদ্দীন, হামিদুল হক, সৈয়দুল আমিন, জাহেদুল হক, রোকন উদ্দৌলা, মো: আজম, মিজানুর রহমান, খালেদ বিন মিঠু, মো: উসমান, মো: আলমগীর, হাসনাত মাসুদ, মো: ইউসুফ, মেহেদী হাসান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।