আজকাল চাঁদে মেঘে
লুকোচুরি খেলা,
দীর্ঘ অদর্শনে
কখনো একেলা।
কখনও সে টুপটাপ
শিশিরের জল –
সকালের রোদ্দুরে
আলো ঝলমল।
কখনো বা দুষ্টুমি,
ঠোঁট চেপে হাসি
নিশিদিন মনে তার
কে বাজায় বাঁশি!
মনে মনে আবদার,
খুনসুঁটি খেলা,
ঘোর লাগা কালো চোখে
স্বপ্নের মেলা;
কখনও বা মুখ ভার
প্রত্যাখানে
ওঠে ঝড়, ভাঙে ঘর
হায়! কে বা জানে?
গাছের ছায়ায় ঢেকে
মায়াময় ঘর
হয়নি আপন, তবু
যেন নয় পর!
সেই ঘরে পিয়ানোয়
ডো, রে মি বাজে,
এলোমেলো মন তার
জুলিয়েট সাজে।
যেই ওঠে ফাঁকা মনে
সেতারের সুর,
ধীরে ধীরে ফিকে হয়
একলা নূপুর।
ভয়ে বুক ধুকপুক
পুলকিত প্রাণ!
একটু বা কথা শুনে
একটু বা গান।
বাসন্তী শাড়ি–ঢাকা
মন যে সবুজ,
হরিণীর চোখে ওই
স্বপ্ন অবুঝ।